মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সদ্যসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ও ট্যাক্স ফাঁকির তথ্য উদঘাটনে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি ট্যাক্স কমিশন বরাবরে নোটিশ দিয়েছেন ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স। গতকাল শনিবার প্রাপ্ত এ সংবাদ অনুযায়ী, নিউইয়র্কে ট্রাম্পের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য কত এবং তিনি তার বিপরীতে যে ট্যাক্স পরিশোধ করেছেন তা সঠিক কি না, তা যাচাই করার জন্যই এব্যবস্থা।
ট্যাক্স ফাইলের সময়ে ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেট সম্পদের যে মূল্য দেখানো হয়েছে, ঋণ গ্রহণের সময় ওসব সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে বলা হয়েছে কি না, সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যদি তেমন গড়-মিল ধরা পড়ে, তাহলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ার ও ট্রাম্প প্লাজাও রয়েছে তদন্তের আওতায়। বন্দকি রাখা সম্পত্তির প্রকৃতমূল্য নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হওয়ায় ট্রাম্পকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। অর্থাৎ বহুমুখী তদন্ত চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক স্টেটে। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যাক্স কমিশন ট্রাম্পের মালিকানাধীন সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের (ট্যাক্স প্রদানের সময় যা উল্লেখ করা হয়েছে) তথ্য প্রদান করবে। ট্রাম্পকে ঋণ প্রদানকারী অন্তত দুটি ব্যাংককে (ডয়সে ব্যাংক এবং ল্যাডার ক্যাপিটল ফাইন্যান্স) ইতোমধ্যেই আইনি নোটিশ দিয়েছে ম্যানহাটার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। এ দুটি ব্যাংক ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অর্থ-ঋণ দিয়েছে।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসা জেমসও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত শুরু করেছেন। লেটিসার তদন্তের আওতায় রয়েছে ওরেয়স্টচেস্টারে ৭টি সম্পত্তি এবং লসএঞ্জেলেসে দ্য ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাব। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ট্যাক্স ফাঁকি ইত্যাদি অভিযোগের যথাযথ তদন্ত এবং মামলা পরিচালনার জন্যে ইতোমধ্যেই ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কর্তৃক সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর মাইক পমিরন্টজকে স্পেশাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।