বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দেওয়ার জন্য শহীদ মিনার নেই খুলনার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেখানে মাটি, ইট, কলাগাছ, কাপড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। তবে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছাটুকুও অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ১৫৯ টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ২৪৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শহীদ মিনার নেই ৯১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এতদিনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার না থাকার কারণ হিসেবে তহবিল ঘাটতির কথা বলছেন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে, শহরের বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে জায়গার সঙ্কটের কথা। খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.এস.এম. সিরাজুদ্দোহা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নির্দেশনা মোতাবেক ইতোমধ্যে খুলনার যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোর তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির আগে খুলনার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।’
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খান বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ পেলে খুলনার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যথাযথভাবে শহীদ মিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মাসিক সমন্বয় সভায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই রকম শহীদ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমন্বয় সভায় বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিকল্পনাবিহীন শহীদ মিনার স্থাপন করা হচ্ছে। যার ফলে বিদ্যালয়ে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই প্রস্তাবের আলোকে শহীদ মিনারের অভিন্ন নকশা প্রণয়ন করে মাঠ পর্যায়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। যার ফলে যেটা হয়েছে যার যেমন খুশি তেমন ডিজাইন করে বানিয়েছে। যে যার মতো করে করেছে, যে কারণে বিষয়টি সুন্দর দেখায় না। সে কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নকশা করে সব স্কুলে পাঠানো হবে। একই রকম শহীদ মিনার যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে করা হয় সে নির্দেশনা নেওয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।