Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাস্তবায়নে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-তা প্রতিবেদন আকারে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় ৮দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) দায়েরকৃত রিটের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট এসব নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে : (ক) ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা নেয়া, যাতে ভবঘুরেরা ঘোরাফেরা কিংবা অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে না পারে। (খ) মূল বেদীতে কোনো মিটিং-সমাবেশ থেকে বিরত রাখতে হবে। তবে বেদীর পাদদেশে সভা-সমাবেশের কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। (গ) ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মরণোত্তর পদক ও জীবিত ভাষা সৈনিকদের জাতীয় পদক দিতে হবে। (ঘ) জীবিত ভাষা সৈনিকদের কেউ সরকারের কাছে কোনো আর্থিক সাহায্য চাইলে তা দিতে হবে। (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ এবং মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। (চ) শহীদ মিনারের পাশে একটি লাইব্রেরীসহ যাদুঘর প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে ভাষা আন্দোলন তথ্য সংক্রান্ত ব্রুশিয়ার রাখা, যাতে পর্যটকরা তথ্য জানতে পারেন।

(ছ )ভাষা সৈনিকদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নে কমিটি গঠন এবং ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশ এবং (জ) ভাষা সৈনিকদের সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো এবং সাধ্যমতো সরকারি সুযোগ নিশ্চিত করা।

গতকালের আদেশের বিষয়ে রিটকারী সংস্থার অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই নির্দেশনার পর ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। এমনকি কতিপয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলেও যাদুঘর প্রতিষ্ঠা, ভাষা সৈনিকদের প্রকৃত তালিকা তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই আদালত আদেশে বিবাদীদেরকে তাদের পদক্ষেপ এফিডেভিট আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার বিবাদীরা হলেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভিসি, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার, চীফ আর্কিটেক্ট, আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টসহ সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ