পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রিন্সিপাল এ, এইচ, এম খায়রুল আনম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিকর উক্তি বিভিন্ন সভা সমাবেশে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠন বিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতা এবং কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সংগঠন বিরোধী উল্লেখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে চ‚ড়ান্তভাবে বহিস্কার করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার পূর্ব ঘোষিত অবস্থান ধর্মঘট ও হরতাল চলাকালীন সময়ে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকালে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষের ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে ৪৪ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আমার নেতাকর্মীদের জখম করেছে। পুলিশ বসুরহাট রূপালী চত্বরে চেয়ার, প্রচার মাইক, জেনারেটর ভাঙচুর করেছে। একই দিন দুপুর ১২টায় উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথায় কাদের মির্জাকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সকালে থানায় এসে কাদের মির্জা ও তার সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে থানায় হামলা করতে আসে। ওসি এবং পরিদর্শককে (তদন্ত) থানা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন এবং পুলিশের মুখের ওপর হাত এনে অশালীন কথাবার্তা ও মারমুখী আচরণ করে। কাদের মির্জা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে গায়ে পড়ে মারমুখী আচরণ করে তার সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশে বেআইনী চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে ৪০ জন র্যাব সদস্য ও ১১০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।