নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালকে শিরোপার আনন্দে রাঙাতে পারলেন না যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্র্যাডি। তার আশা মাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হলেন জাপানের নাওমি ওসাকা। মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় গতকালের ফাইনালে ২২তম বাছাই ব্র্যাডিকে ৬-৪, ৬-৩ গেমে উড়িয়ে দেন তৃতীয় বাছাই ওসাকা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ওসাকার এটি দ্বিতীয় আর ক্যারিয়ারে চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। এ নিয়ে চারবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হলেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা।
২৩ বছর ওসাকার জন্ম জাপানে। কিন্তু ১৩ বছর বয়েসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে সেখানেই বেড়ে উঠেন তিনি। ২৫ বছর বয়েসী ব্রাডি এই প্রথম উঠেছিলেন কোন গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাকে থাকতে হয়েছে বিফল। প্রথমবার এত বড় মঞ্চে খেলতে নেমে ব্র্যাডি শুরুর দিকে ভুল করে বসেন কিছু। সেই সুযোগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ওসাকা। প্রথমে প্রথম সেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন ব্রাডি। এক পর্যায়ে ৪-৪ সমতায় ফিরেছিলেন। সেখান থেকে আর তাকে কোন সুযোগ দেননি ওসাকা। প্রথম সেট জেতার পর দ্বিতীয় সেটে ওসাকা হয়ে যান আরও দাপুটে। তার সার্ভিস ফেরাতেই হিমশিম খেতে দেখা যায় ব্রাডিকে। একপেশে দ্বিতীয় সেটে তেমন কোন প্রতিরোধ আসেনি ব্রাডির কাছ থেকে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অপরাজিত ওসাকা সব মিলিয়ে জিতলেন টানা ২১ ম্যাচ। এর আগে মেলবোর্ন পার্কে তিনি শিরোপা জিতেছিলেন ২০১৯ সালে। চার গ্র্যান্ড স্ল্যামের বাকি দুটি জেতেন ২০১৮ ও ২০২০ ইউএস ওপেনে। গত ইউএস ওপেন ওসাকা জিতেছিলেন দর্শকশ‚ন্য স্টেডিয়ামে। এবার সাড়ে ৭ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল। ফাইনালে দর্শক থাকায় বাড়তি রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে তাকে, ‘মাঠে দর্শক থাকার অনুভূতিটা দারুণ। আগের গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলেছিলাম দর্শকদের ছাড়াই। তাদের প্রাণশক্তি সঙ্গে থাকা মানে অনেক কিছু।’
র্যাঙ্কিং হালনাগাদ হলে তালিকার দুই নম্বরে উঠে আসবেন ওসাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।