Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৃদ্ধকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইসমাইল হোসেন হাওলাদার (৫৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চেঁচরী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধকে মারধর করার পরে তাকে মামলায় জড়িয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান। ইসমাইল হোসেন পশ্চিম চেঁচরী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষি কাজ করে সংসার চালান। ছেলের চাকরির জন্য ইসমাইল হোসেন এক লাখ টাকা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানকে। চাকরি না দিয়ে তিন বছর পর অর্ধেক টাকা ফেরৎ দেন। বাকি টাকা আর ফেরৎ দিচ্ছেন না তিনি। অভিযোগে জানা যায়, তিন বছর আগে ইসমাইল হোসেন তাঁর ছেলে নাজমুল হাওলাদারকে স্থানীয় মধ্য চেঁচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি দেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির কাছে যান। ইউপি চেয়ারম্যান চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন। কিন্তু নাজমুলকে আর চাকরি দিতে পারেননি ইউপি চেয়ারম্যান। এ অবস্থায় বৃদ্ধ ইসমাইল হোসেন তাঁর টাকা ফেরৎ চায়। তিন বছর ঘুরিয়ে ৫০ হাজার টাকা ফেরৎ দেন ইউপি চেয়ারম্যান। বাকি টাকা ফেরৎ না দিয়ে নানা টালবাহানা করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গতকাল সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে অভিযোগ করেন। ওই ব্যক্তি তাঁর বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ হন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজি। তাঁর ‘কথিত দেহরক্ষী’ কবির হোসেন ও দিপককে পাঠিয়ে ইসলাম হোসেনকে ধরে পরিষদে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। দরিদ্র এ কৃষককে বাড়ির সামনে থেকে ওই দু’জন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে জনসম্মুখে তাকে গালাগাল করে ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় ওই বৃদ্ধ পাওনা টাকার কথা বললে, তাকে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এক পর্যায়ে বৃদ্ধকে মামলায় জড়িয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। ভয়ে ওই বৃদ্ধ কৃষক সেখান থেকে কৌশলে বেড়িয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে চেঁচরীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমি ওই বৃদ্ধর কাছ থেকে কোন টাকা নিইনি, তাকে মারধরও করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ