নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিদেশের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল। এবার দেশের মাটিতেও সেই তেতো স্বাদ পেয়ে গেলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার কাজ আরও কঠিন করে তুলেছে পারিপার্শ্বিকতা। সব মিলিয়ে মুমিনুলের উপলব্ধি, অধিনায়কত্ব খুবই চ্যালেঞ্জিং।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরের ঠিক আগে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেকটা হুট করেই নেতৃত্ব চেপে বসেছিল মুমিনুলের কাঁধে। সেই সফরে দুটি টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়েও একমাত্র টেস্টে অধিনায়ক মুমিনুলের প্রাপ্তি ইনিংস ব্যবধানের পরাজয়। পরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে জয়ের স্বস্তি পেলেও এবার দেশের মাটিতে দুই টেস্টেই হারতে হলো সেরা দল না নিয়ে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
ক্যারিবিয়ানদের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর মুমিনুল হতাশ স্বাভাবিকভাবেই। তার পরও ভবিষ্যতে তাকিয়ে শোনালেন আশার কথা, ‘বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের মাটিতে বাকি ছিল, সেটাও হয়ে গেছে। দল যখন হারে, তখন তা অবশ্যই হতাশার। হয়তো এরপরও কিছু ইতিবাচক ব্যাপার থাকবে। আমাদের উন্নতির এখনও অনেক বাকি আছে। যেগুলো করলে হয়তো আমরা ভবিষ্যতে টেস্ট জিততে পারব দেশে ও দেশের বাইরে।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপে এক বছর টেস্ট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। মুমিনুলের মতে, দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামায় অধিনায়কের কাজ ছিল সবচেয়ে কঠিন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। করোনাভাইরাসের জন্য লম্বা সময় কোনো টেস্ট খেলাই হয়নি। এক বছর পর আমরা টেস্ট খেলেছি। যদিও এটা কোনো অজুহাত নয়, কিন্তু আমার জন্য এটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। অধিনায়ক হিসেবে সব কিছু বুঝে উঠা, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া...। টেস্ট খেলায় যদি লম্বা বিরতি পড়ে, তখন খেলাটা কঠিন। কিছুদিন পরপর টেস্ট খেললে কাজটা সহজ হয়ে যায়।’
সেরা কজন তারকা ছাড়া খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের জোর ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। হারের পর হতাশ অধিনায়ক মুমিনুল বলছেন, ২০ বছরে দেশের ক্রিকেটে ওইভাবে উন্নতি হয়নি। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান ‘এভাবে চলতে দেওয়া যায় না’ বলে হুশিয়ার করেছেন। তবে সাকিব আল হাসান এতটা অস্থির বা হতাশ নন। চোটের কারণে খেলতে না পারা এই তারকা এই হারকে নিচ্ছেন স্বাভাবিকভাবে।
‘ফ্রেন্ডশিপ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার শুভেচ্ছাদ‚ত হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড হিরোস’ নামের একটি ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন এই তারকা। সাকিব যেখানে আছেন সেখানে ক্রিকেট নিয়ে কথা হওয়াটা স্বাভাবিক। সাকিবকেও মেটাতে হয়েছে সেই আবদার। তিনি মনে করেন এই হারকে দেখা উচিত ক্রীড়াসুলভ দৃষ্টিতে। এতেই সব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়নি বলে মত তার, ‘আজ ভেবেছি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবো না। তবু বলতে হচ্ছে..., পরাজয় কাম্য নয়। তবে শুধু ক্রিকেটে নয় সকল খেলাধুলাতে জয়-পরাজয় থাকবে। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আর আমাদের উন্নতি যে হয়নি সেটিও না। সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে।’
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে ৬৮ রান করেছিলেন সাকিব। বল করতে গিয়ে পড়েন চোটে। উরুর সেই চোট তাকে ছিটকে দেয় টেস্ট সিরিজের বাকি অংশ থেকে। এর আগে ওয়ানডেতে ম্যন অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পেয়েছিলেন কুঁচকিতে টান। তাতে সাকিবকে বাংলাদেশ পাচ্ছে না লম্বা সময়। তৃতীয় সন্তানের জন্ম উপলক্ষে ছুটি নিয়েছেন তিনি। মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে তাই সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড যাবে। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিলে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা সাকিবের। এপ্রিলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।