বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও জেড ফোর্সেস কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর বীর উত্তম খেতাব বাতিলে জামুকার প্রস্তাবের প্রতিবাদে গতকাল বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। তবে কয়েকটি জেলায় সমাবেশে পুলিশী বাধার খবর পাওয়া গেছে। এসময় নেতাকর্মী বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। মুক্তিযুদ্ধ মানে জিয়া, গণতন্ত্র মানে জিয়া, জিয়া মানে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করলেন, তার খেতাব কেড়ে নেবেন ? জামুকা একটি বিতর্কিত সংগঠন উল্লেখ করে নেতাকর্মীরা আরো বলেন, ‘আল জাজিরায় প্রকাশিত সংবাদে সরকারের যে অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে সেটা ঢাকতে এবং বাংলাদেশের মানুষকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল এর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, তৌহিদুল আলম মামুন, সহিদ উন নবী সালামসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে। দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভটি বের হয়ে মহাসড়কে উঠার আগেই পুলিশি বাধার শিকার হন। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন দলটি। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ,যুগ্ম আহবায়ক এম এ মজিদ, মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম দোলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। সকাল ১০ টার দিকে শহরের আলাইপুরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কতিপয় সন্ত্রাসীদের অকস্মাৎ হামলায় ইটের আঘাতে কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জুবায়ের হোসেনের মাথা ফেটে যায়। তাছাড়াও ধস্তাধস্তিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল সহ ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপির বিক্ষোভে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, এম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন সারাদেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীর কোথাও এমন সন্ত্রাসী হামলা ঘটেনি। শুধুমাত্র নাটোরেই এমন ঘটেছে। অবৈধ সরকারের নাটোরের অবৈধ সংসদ সদস্যের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি, সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) এর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুল আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদশা, প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জে পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে পারেনি জেলা বিএনপি। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং গেইটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট জামিলুর রশিদ খান।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. সৈয়দ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম নুপুর ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।