মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথিবী যে হারে উষ্ণ হয়ে উঠছে তা গত এক হাজার বছরের মধ্যেও দেখা যায়নি। এই গতিকে অভূতপূর্ব বলে দাবি করেছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এই উষ্ণতা বৃদ্ধি মানব সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে পৃথিবীজুড়ে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। চলতি বছর বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা ১৯ শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাকর্ডে উল্লেখিত ১.৫ ডিগ্রির বিপজ্জনক মাত্রার কাছাকাছি। চলতি বছরের জুলাই মাস ছিল ১৮৮০ সালের পর থেকে রেকর্ড করা ইতিহাসে উষ্ণতম মাস, ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর থেকে প্রতি মাগেন তৈরি হয়েছে উষ্ণতার নতুন নতুন রেকর্ড। নাসার গডারড ইন্সটিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ-এর পরিচালক গ্যাভিন শিমিদ বলেন, গত ৩০ বছরে আমরা অস্বাভাবিক একটি অবস্থায় প্রবেশ করেছি। এই অবস্থা গত এক হাজার বছরের মধ্যে ঘটেনি। বিংশ শতকেও কখনও এমন অবস্থা দেখা যায়নি। এছাড়া খরায় আক্রান্ত হবে পৃথিবীর অনেক এলাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রির নিচে রাখতে হলে অবিলম্বে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু আমরা এখনও তা করছি না। গ্যাভিন আরও জানান, ২০১৬ সালে উষ্ণতার রেকর্ড যে সর্বোচ্চ হবে, তা ধারণা করা হয়েছিল। কেননা ২০১৬ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ওপর এল-নিনোর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালও ছিল আগের বছরগুলোর তুলনায় উষ্ণতম। তিনি বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছি। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকবে। তাপমাত্রা বাড়ার কোনও বিরতি ঘটছে না। আগামী ১০০ বছর এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে পৃথিবীর মানুষকে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে অনেক প্রাণী। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বরফ যুগের পর সাধারণভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা পাঁচ হাজার বছরে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে তাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু এখন পৃথিবীর তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে তা সেই গতির ১০ গুণ বেশি। এই হার থেকে হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, আগামী ১০০ বছরে এই হার হবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।