বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেষ মূহূর্ত্বে জমে উঠেছে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকেরা । দিন-রাত চলছে প্রচারণা। দুপুরের পর থেকে মাইকিংয়ে মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা পৌর এলাকা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলি-গলি। গোদাগাড়ী পৌরসভা যেন ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারের নগরীতে পরিনত হয়েছে।
গোদাগাড়ী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব আয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রুলু, নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পৌরসভার বর্তামান মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু এবং জামায়াতের নেতা জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডক্টর মোঃ ওবাইদুল্লাহ।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মশিউর রহমান জানান, এ পৌরসভায় ৪ জন মেয়য় প্রার্থী হিসেবে এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে ।
নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ২৬৫, সবাই আস্থার সাথে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রার্থীরা তাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব ব্যাপক প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার বাজার, হোটেল, ক্লাব ও পাড়া মহল্লা গুলো। দোকান মালিকদের বিক্রি আগের চেয়ে বেশী বেচা বিক্রি বেশী হওয়ায় তারা দারুন খুশি। আওয়ামীলীগ
দলের টিকিট পেয়েই ব্যাপক প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন নৌকা প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস, জেলা কেন্দ্রীয় নেতারা তার পক্ষে প্রচারনায় আসচ্ছেন।
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গোদাগাড়ী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহম্মদ কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক বিশিষ্ট সমাজ সেবক গোলাম কিবরিয়া রুলু তার সাথে দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলার নেতারা এসে ব্যপক প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। বিরামহীনভাবে প্রচার চলছে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম। বর্তমান মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু দলীয় মনোনায়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে ডাবগাছ প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে ব্যপক প্রচারনপ্রচারনা চালাচ্ছে। তার সাথে সরাসরি রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম, সাংগঠনিক সাম্পাদক, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা সাজুরুদ্দিন সাজু এএম শাহীনসহ বেশ কিছু নেতা কর্মী।
মেয়র, কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলার প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থক নিয়ে কাঁকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গোটা পৌর চুষে বাড়াচ্ছেন গোটা পৌরসভা। বিয়ে, সুন্নাতে খাতনা, জন্ম দিন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিভিন্ন ভাল ভাল উপহার সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন। মসজিদ, মন্দির, জানাজার নামাজে, ইয়াতিমখানায় যাচ্ছে সালাম কালাম বেশী বেশী করছেন। নিজ উদোগ্যে চা চক্রের আয়োজন করছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, এটা স্থানীয় নির্বাচন তাই প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজ, বংশীয় ভোট, নতুন ও মহিলা ভোটার গোদাগাড়ী পৌরসভার নির্বাচনে বড় ফেক্টর, যে প্রার্থী তার কলাকৌশল দিয়ে নতুন ও মহিলা ভোটারদের তার পক্ষে নিতে পারবেন সে প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা বেশী।
বিগত ২০১৫ ইং সালে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরিসংখ্যানে দেখা যায় আওয়মীলীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু ভোট পেয়ে ছিলেন ১০ হাজার ২শ ২৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৬শ ১৬ ভোট। কিন্তু আওয়ামীলীগে নৌকা প্রতীকে ১ জন আর অন্য জন বিদ্রোহী হিসেবে মেয়র নির্বাচন করায় বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। কে হচ্ছে গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালবাসা দিবস পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।