Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ঢাকায় উইন্ডিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাড়া করতে হয়েছিল প্রায় চারশ রান। এত বড় লক্ষ্যের পেছনে ম‚ল ভ‚মিকা রেখেছিল প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে গুটিয়ে গেলে বাংলাদেশ পায় ১৭১ রানের বড় লিড। পরে ৮ উইকেটে ২২৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে মমিনুল হকের দল। সফরকারীদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের!
কাইল মেয়ার্সের ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে সফরকারীরা সেই রান তাড়া করে পায় অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বাদ। তবে সিরিজ জিততে হলে নিজেদের আরও উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন ক্যারিবিয়ান কোচ ফিল সিমন্সের। বিশেষ করে স্পিনারদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে বলে মনে করছেন তিনি। বোলিং বিভাগে উন্নতি করে ঢাকা টেস্টে প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জানালেন, সেই সামর্থ্য আছে তার বোলারদের, ‘আমি মনে করি, প্রতিটি জয়ের পর দলের কোন কোন জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন সেটা আরও ভালো করে ভাবা উচিত। একটি দল যখন হারে, তখন তারা উন্নতির চেষ্টা করে। তাই বিজয়ীদেরও একই কাজ করা উচিত। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশকে ৪০০ রানের পরিবর্তে ৩০০ রানে বেঁধে রাখতে আমরা আরও ভালো বল করতে পারি। আমার মনে হয় না, আমাদের স্পিনাররা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিক ছিল। তারা ভালো বোলিং করেছে, তবে বোলিংয়ে আমাদের উন্নতির আরও জায়গা আছে... আমাদের ধারাবাহিক থাকতে হবে। চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকা বেশি স্পিন সহায়ক হবে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬৮ রানই সাকিব আল হাসানের অবদান। বল করতে গিয়ে পাওয়া চোটে ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে থামতে হয় তাকে। আর নামতে পারেননি ওই টেস্টে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং-বোলিং কোনটাই করা হয়নি তার। সাকিব ছাড়া প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের গুটিয়ে ১৭০ রানের বড় লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে যন্ত্রণায় পুড়েছে বাংলাদেশ। স্পিনারদের ধারহীন বোলিংয়ে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ হারতে হয় মুমিনুল হকের দলকে। প্রথম টেস্টে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নেওয়া উইন্ডিজকে দ্বিতীয় টেস্টে সামলাতে হবে না সাকিবকে।
চোটে ছিটকে যাওয়ায় ঢাকা টেস্ট সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সেটিকে খুব একটা বড় সুবিধা হিসেবে দেখছে না সফরকারীরা। সিমন্স বরং মনে করেন বাকিরাই সাকিবের অভাব প‚রণের জন্য যথেষ্ট, ‘এটা আমাদের সুবিধা দেবে না (সাকিব না থাকা)। হ্যাঁ, সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। কিন্তু তাদের স্পিনার আর ব্যাটসম্যান আছে যারা বল ঘুরাতে পারে ও রান করার কাজটা করে দেবে। হয়ত সাকিবের মতো না, কিন্তু এই টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত। তার অনুপস্থিতিকে নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই। এটা সহজ হবে না।’ দ্বিতীয় টেস্টে ওপেনিং জুটি আর স্পিনারদের আরও উন্নতির জায়গা দেখছেন তিনি, ‘আমাদের বড় ওপেনিং জুটি দরকার। এটা হলে অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হয়। আমার মনে হয় না আমাদের স্পিনাররা তাদের (বাংলাদেশের) মতো ধারাবাহিক। স্পিনাররা ভাল করেছে, কিন্তু উন্নতির জায়গা আরও আছে।’
সিমন্সের মতে চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরের উইকেটে স্পিনাররা আরও সহায়তা পাবেন। উইকেট দেখে বাড়তি স্পিনার খেলানোর ব্যাপারেও ভাবতে পারে তাদের দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ