বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উৎপাদন খরচ কম তাই মীরসরাইতে কপি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। কপি চাষে এবার লাভের আশা করছেন তারা। কপি চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ শ’ ২০ হেক্টর জমি। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক ৩৮ হাজার ৫ শ’ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এক হাজার ৮ শ’ হেক্টর।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাল গ্রামের আর্দশ চাষি আবু ইউছুফ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি কপির চাষ করেছেন পনের শত জমিতে। সরেজমিন তাকে কপির ক্ষেতে লোকজন নিয়ে কপি তুলতে দেখা যায়। অন্যন্য ফসলের চাইতে কপি চাষে ঝুঁকি যেমনি কম তেমিন উৎপাদন ব্যয় ও কম। ফলে লাভের আশায় চাষিরা কপি চাষে ঝুঁকছে। ইউসুফ এর মতো অনেকেই আমন ও বোরো ধানের পরিবর্তে সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা করেরহাট, হিঙ্গুলী, সোনা পাহাড়, মস্তাননগর, মিঠাছরা, দুর্গাপুর, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, নয়দুয়ারীয়া, সাহেরখালী, ইউনিয়নে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। ঠাকুরদিঘী এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, বিঘাপ্রতি কপি চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় কপি উৎপাদন হয় ৫০ থেকে ৬৫ মণ। প্রতিমণ কপি ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হলে মোট বিক্রি হবে ৪৫-৫৫ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশাবাদী।
তবে অনেক কৃষক অভিযোগ করেন যে, বাজারে ভালো মানের বীজ না পাওয়ায় গত কয়েক বছর তাদের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। তারা মূলত এনজিও থেকে লোন নিয়ে চাষাবাদ করে সুদে-আসলে টাকা শোধ করতে গিয়ে অনেকে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মীরসরাই কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, এই উপজেলার মাটি সবজি চাষের উপযোগী। সবজি চাষে ঝুঁকি কম হওয়ায় মানুষ সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। দাম ও ফলন দুটোই ভালো হওয়ায় কৃষকদের বাঁধাকপি, ফুলকপি অন্যান্য সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।