পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ-বিদেশে এখন আল জাজিরার একটি রিপোর্ট নিয়ে চলছে বিতর্ক। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামের একপেশে রিপোর্টটি নিয়ে চলছে প্রচার-অপপ্রচার। এক পক্ষ হৈ হৈ করে উঠে আক্রমণাত্মক কথাবার্তার ফানুস উড়াচ্ছেন। আরেকটা পক্ষ চিরাচরিত ‘তোষামোদী’তে মেতে উঠেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বিকার। তিনি এগিয়ে চলছেন। দেশে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই’ দাবি করে এতোদিন যারা বিদেশিদের কান ভারি করেছেন; ‘আল জাজিরা রিপোর্ট বিতর্ক’ তাদের দাবি অসার প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের মিডিয়াটির সম্প্রচার দেশে বন্ধ করতে পারতেন। কিন্তু ‘মন যাহা চায় বলে যাও’ নীতি গ্রহণ করেছেন। প্রতিপক্ষ্যের অপপ্রচারে সময় নষ্ট না করে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিচ্ছেন নিজস্ব গতিতেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভীত ততই শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা আরো সুদৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান ষড়যন্ত্র হয়েছে; এমনকি তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টাও হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছেন; আর শেখ হাসিনার প্রতি জনগণ হয়েছেন আস্থাশীল।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান অগ্রযাত্রা উন্নত বিশ্বের কাছেও বিস্ময়। তিনি এখন বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তার চিন্তাশীল সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচিতে দেশ এখন প্রত্যেকটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জিডিপি প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য করলে আগে চিন্তাভাবনা করেন। তাই দেশের এই উন্নয়নে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ঘোট পাকাচ্ছেন। কিন্তু ঝানু রাজনীতিক শেখ হাসিনা নৌকার দক্ষ মাঝির মতোই এগিয়ে চলছেন সামনের দিকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রয়েছে। একক নেতৃত্বে দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। টানা তিনবারসহ মোট চারবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। দীর্ঘ এ সময় তার সঙ্গী হয়েছে দলের নেতাকর্মী ও জনগণ। যখনই কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে তখনই দলের নেতাকর্মীরা এবং জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মানববর্ম হয়ে শেখ হাসিনার জীবনও রক্ষা করেছেন নেতাকর্মীরা।
আল জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদনকে বেশিরভাগ মানুষ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়েছেন। এই ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে করেছে আগের চেয়ে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ। দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যেকার বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ পেশাজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভীত আরো শক্তিশালী হয়েছে।
রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, যত ষড়যন্ত্র হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভীত ততটাই শক্তিশালী হয়েছে। নানা আলোচনা সমালোচনা মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্বেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যহত রয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। কিন্তু অতীতের ন্যায় যত ষড়যন্ত্র হয়েছে জনগণের আস্থা ততই বেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।
দেশের অর্থনীতিবিদদের মতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান অগ্রযাত্রা উন্নত বিশ্বে বিস্ময়। এক সময়ের ‘তলাবিহীন ঝুড়’ বাংলাদেশ এখন প্রত্যেকটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জিডিপিও প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি। এই অগ্রযাত্রা রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীরা সহ্য করতে পারছেন না। তাই দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কেউ কেউ শেখ হাসিনাবিরোধী ষড়যন্ত্র মনে করলেও এটা আসলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। দেশকে পিছিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র।
ঝড়ের মধ্যে শক্তভাবে নৌকার হাল ধরে ঝানু মাঝির মতোই গন্তব্যে পৌঁছার মানুষ শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৪০ বছরে নানান বাধাবিপত্তির মুখে শেখ হাসিনা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব দিয়েই দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। বিশ্বের অনেক দেশ করোনা মোকাবিলায় হিমসীম খাচ্ছে অথচ প্রধানমন্ত্রী করোনা সামাল দিয়েছেন একক হাতে। গতকাল সারাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রশ শুরু হয়েছে। প্রতিপক্ষ করোনা টিকা নিয়ে নানান বিতর্ক করছে কিন্তু জনগণ বর্তমানে উপলব্ধি করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি যা করেছেন দেশের ভালোর জন্য করেছেন। ঠিক তেমনি আল জাজিরার প্রতিবেদন। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করার কারণে দেশে টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়নি। কারণ বাংলাদেশ কারো ফাঁদে পা দেবে না।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকটি সূত্র বলছে, দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বিষয়টি সামনে আসায় আরো সতর্ক ও সচেতন হবার বার্তা পাওয়া গেছে। এছাড়া কারা কিভাবে ষড়যন্ত্র করছে সে বিষয়েও নতুন ধারণা পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যা থেকে সরকার আরো বেশি সচেতন হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, নানা ষড়যন্ত্র, ঘাত-প্রতিঘাত, হত্যাচেষ্টা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা ‘ভিশনারি লিডার’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদন বাংলাদেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্র। এরকম হাজার হাজার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যত ষড়যন্ত্র হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব তত শক্তিশালী হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে শক্তিশালী করেছে। আল জাজিরা যে মিথ্যাচারে লিপ্ত তা দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।