Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কার্যক্রম ভন্ডুল

বগুরায় অনিয়মের অভিযোগ

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই অনুষ্ঠান ভন্ডুল হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাইবাছাই অনুষ্ঠানটি গতকাল শনিবার বগুড়া সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায় শুরু হয়।
ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, অপর দুই সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সদরুল আলম রঞ্জু ও এ এইচ এম খসরু।
বাছাই কাজ শুরুর পরপরই কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আগত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের স্বাক্ষীরা শ্লোগান দিতে থাকে।
যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, ভন্ডুলের বিষয়টি আমরা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)’র মহাপরিচালককে জানিয়ে বিচার দাবি করেছি। আব্দুল কাদের আরও জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ড. রেজাউল করিম মন্টু, ইকবাল হোসেন রতন, জহুরুল ইসলাম মন্টু, আব্দুল মজিদ ও হেলাল উদ্দিন কমিটির সদস্য সদরুল আনাম রঞ্জুকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে গালিগালাজ শুরু করে তার অধীনে যাছাই বাছাইয়ে অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। এতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাক্ষীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেউ কেউ অনুষ্ঠান ভন্ডুল করতে পারে এমন আশঙ্কায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহযোগিতা নেননি।
২০২০ সালের ২১-৩০ নভেম্বর যাচাই বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ওই কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু ছিল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মেহেরপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার এফ এফ নাম্বার ব্যাবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। ওই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিলে জামুকা নতুন কমিটির মাধ্যমে যাচাইবাছাইের অনুমতি দেন।
তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. রেজাউল করিম মন্টু জানান, বর্তমান কমিটির দুইজন আব্দুল কাদের ও সদরুল আনাম রন্জু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। ইতোপুর্বে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই উক্ত যাচাই বাছাই ব›ন্ধ করার কথা বলেছি। কারন একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদ একজন ভূয়া দিতে পারেনা।
আরও বলেছি, যদি যাচাই বাছাই করতেই হয় তাহলে ওই দুইজনকে বাদ দিয়ে করা হোক। আমার এ বক্তব্যের সাথে আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা সমর্থন করে। এতে হৈচৈ শুরু হলে নির্বাহী কর্মকর্তা জামুকার সাথে কথা বলে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও বলেন, ভূয়া দুই মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে যাচাইবাছাই হলে তারাও বৈধতা পেয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, কিছু মুক্তিযোদ্ধা কমিটির দুই সদস্যের উপর অভিযোগ আনেন। এই নিয়ে হৈ চৈ হলে জামুকার সাথে কথা বলে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে জামুকার কাছ থেকে যেভাবে নির্দেশনা পাবো সেই ভাবেই যাচাইবাছাই কাজ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযোদ্ধা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ