পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে কমে গেছে উচ্চ শুল্ক হারের গাড়ির চেচিস ও মোটরপার্টস আমদানি। কাস্টমের রাজস্ব আদয়ের সিংহভাগ আসে উচ্চ শুল্কযুক্ত পন্য আমদানি থেকে। করোনায় গাড়ি ও মোটরপার্টসের চাহিদা কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েতে শুরু করেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৯৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা, কিন্ত আদায় হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি ১ হাজার ১০৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে ৩৪২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ। বেনাপোল কাস্টমস হাউসে একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গাড়ির চেচিস আমদানি হয়েছে ১৭ হাজার ২৯৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৬ টাকা। যার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭২৮ দশমিক দশ পিস।
২০১৯ সালে মোটরপার্টস আমদানি হয়েছে ২১৯ কোটি ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৫ টাকা, যার সংখ্যা ৮ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮২ দশমিক ৯৭ কেজি। ২০২০ সালে চেচিস আমদানি হয়েছে ২৮ হাজার ২৪২ পিস, মোটরপার্টস আমদানি করা হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬৭ দশমিক ১৬ কেজি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, গাড়ির চেচিস ও মোটরপার্টস বেশি আমদানি হলে রাজস্ব আদায় বেশি হয়। কম শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি হলে রাজস্ব আদায় কমে যাবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, করোনার কারণে সব ব্যবসায় ধস নেমেছে। বেশি নেমেছে গাড়ির ব্যবসায়। কারণ মানুষের কাছে নগদ টাকার প্রবাহ বেশি থাকলে তখন তারা গাড়ি কিনতে ও পার্টস বদলাতে উৎসাহী হন।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, করোনার কারণে সারাদেশেই ব্যবসায় মন্দা চলছে। সে কারনে গাড়ির চেচিস ও মোটরপার্টস আমদানি কিছুটা কমেছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
বেনাপোল বন্দর উপ-পরিচালক আ. জলিল জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন জায়গা অধিগ্রহনের কাজ চলছে। গোটা বন্দর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। বন্দরে উন্নয়ন কর্মকা- সম্পন্ন হলে এ বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।