পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জমে উঠেছে ভোটের প্রচার। নৌকা এবং ধানের শীষের পক্ষে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও মাঠে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন বিরামহীন প্রচারে ব্যস্ত। অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থীও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ৫৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটের প্রচারে।
তবে নির্বাচনী হাঙ্গামা এবং করোনা নিয়ে এখনো শঙ্কায় নগরবাসী। প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারেও তাদের সাড়া কম। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ না হলে ভোটাররা ব্যাপকহারে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রমুখী হবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক প্রচারের শুরু থেকেই সংঘাত-সহিংসতা চলছে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বিদ্রোহীদের সমর্থকদের মধ্যে প্রতিনিয়তই সংঘাত হচ্ছে। বিএনপির প্রচারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার।
রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগের পাহাড় জমছে। তবে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের ভূমিকাও যথাযথ নয় বলে মনে করছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে সামনের দিনগুলোতে সংঘাত-সহিংসতা বাড়বে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভোটারের উপস্থিতিতে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে দল নিরপেক্ষ সাধারণ ভোটারেরা কেন্দ্রমুখী হবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।
করোনা সংক্রমণের শঙ্কাও কাটছে না। গত বছরের মার্চে চসিক নির্বাচনের আয়োজন চ‚ড়ান্ত হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। এখন চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় চট্টগ্রাম নগরীতে সংক্রমণ এখনো বেশি। প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ, পথসভায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। দলবেধে অলিগলিতে ঢুকে পড়ছেন প্রার্থীর সমর্থকেরা। এতে বিব্রত সাধারণ ভোটারেরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটের প্রচার এবং ভোটকেন্দ্রে আসার ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ভোটকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে বয়স্ক ভোটারেরা কেন্দ্রমুখী হবেন কিনা তা নিয়েও চিন্তিত প্রার্থীরা।
এদিকে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নগর পুলিশের পাঁচ থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কোন অভিযান শুরু হয়নি। নগরীতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। পুলিশের এসব তৎপরতায় এখনো শঙ্কা কাটছে না। বিভিন্ন এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-শঙ্কা বিরাজ করছে।
অপরদিকে বড় দুই দলের ভিআইপি নেতাদের অংশগ্রহণে ভোটের প্রচারে গতি এসেছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নৌকা এবং ধানের শীষের পক্ষে মাঠে আছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। আচরণবিধির কারণে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীরা গণসংযোগে না থাকলেও নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ধানের শীষের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলামসহ অন্য মেয়র প্রার্থীদের পক্ষেও কেন্দ্রীয় নেতারা কাজ করছেন।
নগরীর আগ্রাবাদে গণসংযোগ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। চট্টগ্রামের প্রতি শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় খাল খনন, সংস্কার, পুনরুদ্ধার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। নির্বাচিত হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত শেষ করা হবে। তিনি কিশোর গ্যাং চট্টগ্রামের নতুন সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, কিশোরদের খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ অতিমাত্রায় সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনেও উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নগরীর কদমতলীসহ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম এখনো অবহেলিত। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে ব্যবসা ও পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং এবং পানিবদ্ধতামুক্ত নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শাহাদাত হোসেন সন্ত্রাস এবং সব ধরনের বাধা মোকাবেলা করে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।