পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের উন্নয়ন এবং গ্রামীণ সড়ক ও বাজারের মধ্যকার যোগাযোগ সহজ করতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবে। গতকাল সোমবার ঢাকায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমীন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভূটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবোন।
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে নেয়া এ ঋণের মেয়াদকাল ৩৪ বছর। সঙ্গে থাকছে চার বছরের গ্রেস পিরিয়ড।
এ ব্যাপারে ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট কর্মসূচির প্রথম ধাপের এই প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় যশোর-ঝিনাইদহ ৪৮ কিলোমিটার দুই লেন সড়ক আধুনিক চার লেন মহাসড়কে উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি এটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের সঙ্গে নতুন ও পুরাতন গ্রামীণ বাজারের সংযোগ স্থাপিত হবে। এছাড়া এই অঞ্চলে দ্রæতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে মহাসড়কে বসানো হবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল।
এ ব্যাপারে মার্সি টেমবোন বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং লজিস্টিক সুবিধা পেলে কৃষকরা কম সময় ও অর্থ ব্যয়ে নতুন ও পুরাতন বাজারগুলোতে পৌঁছতে পারবেন। এতে পচনশীল পণ্যের অপচয় অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া এই অর্থনৈতিক করিডোরটি স্থানীয় অর্থনীতিকে বেগবান করবে এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে পরিণত করবে বাণিজ্য, ট্রানজিট এবং লজিস্টিকের একটি আঞ্চলিক হাব। এই প্রকল্পকে ‘অভূতপূর্ব’ উল্লেখ করে সচিব ফাতিমা ইয়াসমীন বলেন, এটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক উন্নত করবে। পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে লজিস্টিক ও পরিবহন ব্যবস্থায় উন্নয়ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
উল্লেখ্য, ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারন এবং যশোর-ঝিনাইদহ ১১০ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের এই উন্নয়ন প্রকল্পটি দেশের প্রথম ১০ বছর মেয়াদি মাল্টি ফেজড প্রকল্প। বর্তমান ধাপে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা এবং চূয়াডাঙ্গা এই চার জেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের প্রথম দুই বছরেই প্রায় ১৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।