Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শহরে হকারদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সদর থানা পুলিশের কঠোরতায় এবার নরম সুরে হকাররা

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:২২ পিএম

সদর থানা পুলিশের কঠোর অবস্থান ও এসপি জায়েদুল আলমের কড়া নির্দেশে অবশেষে নরম সুরে বক্তব্য রেখেছে হকাররা। ‘পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না’ এরকমই শীর্ষক ব্যানারে নারায়ণগঞ্জে হকারদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হলেও কথা বলেছেন এবার নরম সুরে। ৩১ জানুয়ারী (রোববার) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ, এবং পরবর্তীতে একটি মিছিল চাষাড়া থেকে শুরু হয়ে শহরের ২নং রেলগেইট প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর হকার্স লীগের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সির সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুল ইসলাম, ট্রেড ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল ক্রান্তি দাস, শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন, দিলীপ দাস, হকার নেতা মহসীনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বড় বড় শপিং মল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শো-রুমগুলো বিজ্ঞাপন দিয়ে ফুটপাত দখল করে রেখেছে। চাষাড়া থেকে সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত প্রাইভেট কারের বহর, সেগুলোর দিকে কোন নজর নাই। চাঁদাবাজদের খুশি করার জন্য, যত্রতত্র সিএনজি স্ট্যান্ড সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি নাই। দৃষ্টি শুধু হকারদের উপর। পরিত্যক্ত মাল হোক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জিনিস জব্দ করতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জব্দ করতে হবে। কিন্তু হকারদের মালামাল তাদের সামনেই নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা। এর জন্য প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা করা হবে। হকাররা ছিল, আছে, থাকবে। এমন কোন শক্তি নাই, পুনর্বাসন ছাড়া হকারদের উচ্ছেদ করবে। প্রয়োজন হলে সকল শ্রমিকদের নিয়ে সারা নারায়ণগঞ্জ শহর অবরুদ্ধ করে রাখবো’।
মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সি বলেন, ‘আমার নেত্রী সারা বাংলাদেশের মানুষকে পুনর্বাসন করছেন। তিনি জনগণের নেত্রী, গরীব মানুষের নেত্রী, তিনি মানুষের কথা বুঝেন। আর এই নেত্রী নারায়ণগঞ্জের হকারদের কষ্ট দিচ্ছে। আমার হকাররা তিন বছর যাবত কষ্ট করতেছে। ক্ষমতা কারোই চিরস্থায়ী না। আমাদের হকার ভাইদের বিকেল পাঁচটা থেকে বসতে দিতে হবে। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, বসতে না দিলে আমাদের মরণ ছাড়া কোন উপায় নেই। মাননীয় মেয়র আপনারে বলি, আপনার মা-বাবার কসম লাগে, আপনার পীরের কসম লাগে, একটা হকাররেও আর উচ্ছেদ করবেন না’।
এদিকে সদর থানা পুলিশের একই বাক্য কোন অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসতে দেয়া হবে না। সার্বক্ষনিক পুলিশি টহল চলবে। প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে। এখনও আমরা ভদ্রভাবেই তাদের উঠিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এ নম্রতা কিন্তু বেশিদিন থাকবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হকার

২ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ