বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বল্প খরচ আর কম সময়ে উৎপাদন হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছে দাগনভূঞার কৃষকরা। উন্নত জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছে তারা। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ বেড়েছে সরিষা চাষ। প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় বারি-১৪ ও বারি-১৫ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে। অনেকেই আমন দান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এর পর আবার বোরো ধান রোপণ করবেন তারা।
উন্নত জাতের সরিষা বারি-১৪ ও বারি-১৫ গাছের উচ্চতা হয় দেড় থেকে দুই ফুটের মত। আগে সরিষা গাছ বড় হলেও ফলন কম হতো। নতুন জাতের ছোট আকারের এর সরিষা গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফল আসছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই জমি থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। দাগনভূঞায় এখন পর্যন্ত জাব পোকা আক্রমন দেখা যাচ্ছে না বলে কৃষকরা জানান। এদিকে চলতি বছরের দাগনভূঞায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আসা করছে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে পরিদর্শনে বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা জানান, এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭মন সরিষা উৎপাদন আসা করছেন তারা। লাভ জনক এবং সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশের কারণে এবার চলতি রবি মৌসুমে দাগনভূঞা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষে আবু তাহের জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। প্রতিমণ সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে। প্রতি বিঘাতে গড়ে ৭মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ করা যায়।
দাগনভূঞা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লা আল মারুফ জানান, জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে। চতুর্মুখী লাভে সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন, প্রণোদনা ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল সরিষার নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনের ফলে এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে সরিষা চাষে। আর সরিষা চাষে সার্বিক ভাবে কৃষকদের কে সহযোগীতা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান জানান,এ অঞ্চলে সরিষা চাষ আগে তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। বর্তমানে অন্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন লাভ জনক হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।