Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের তোড়জোড়

প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভেতরে রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের তোড়জোড় চলছে। গবেষণাগারের মূল ফটকের কিছুদূর পর পূর্ব পাহাড়ের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সড়কের মুখের ডান পাশ লাগোয়া পাহাড়ের ঢালের বিশাল জায়গাটির চার পাশে সাত-আট হাত উঁচু সীমানা দেয়ালের সঙ্গে লম্বা টিন দিয়ে ঘিরে রাতের বেলায় নির্বিচারে বুলডোজার দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের দিকের অংশটা ছাড়া টিন দিয়ে তিন পাশ ঘিরে রাখায় সেখানে কী হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। এছাড়া প্রবেশের দরজাও সবসময় বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে কোনোভাবেই দেখার উপায় নেই ভেতরের দৃশ্য। এত নিরাপত্তা দেখে আঁচ করা যায় ভেতরে গোপনীয় কিছু হচ্ছে। ভেতরে প্রবেশের দরজায় রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। সেই দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায়, ঢালু পাহাড়ের প্রায় অংশটা কেটে সমতল করা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। মাঝখানে রাখা হয়েছে একটা স্কেভেটর। পাশে ছোট্ট একটি ভ্রাম্যমাণ ঘর তোলা হয়েছে সেখানে বসে নির্মিতব্য ভবনের মালিকের লোকজন কাজের তদারকি করছেন এবং জায়গাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় লাইট স্থাপন করা হয়েছে।
একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ওখানকার নিরাপত্তারক্ষী জানান, দিনে কোনো কাজ হয় না। রাতে লাইট জ্বালিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। এখানে বহুতল ভবন উঠবে। এখন ভবনের ভিত্তি স্থাপনের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় পুরো পাহাড়টিই ঝুঁকিতে রয়েছে। বহুতল ভবনের ভিত্তি স্থাপনের জন্য খুব গভীরভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে ঝড়ো বৃষ্টি কিংবা ভূমিকম্পের সময় উঁচু পাহাড়টির মাটি সরে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বন গবেষণাগারের একেবারে পাশ ঘেঁষে এটি করা হলেও কেউ এটি বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর মধ্য দিয়ে মূলত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটিকে পাহাড় কাটার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধে স্থানীয় সচেতন মহল চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রামে রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের তোড়জোড়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ