নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর তা হলো ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির কেউ জাতীয় দলের কোচ হতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি কোন দল বা সংস্থার কোনো কোচ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাজ বা বিচারকের ভূমিকায় থাকতে পারবেন না।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বছরের পর বছর ধরে দেখা গেছে একই ব্যক্তি একটি ক্রীড়া ফেডারেশনের বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন। একাধারে ফেডারেশন নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং কোচ ও জাজের ভূমিকাতেও দেখা যায় তাদেরকে। এতে স্বার্থ সংঘাতের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিযোগিতায় ও সাংগঠনিক কাজে বিতর্ক ও প্রশ্নের জন্ম হয়। বিশেষ করে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বিভিন্ন সময়ে এ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয়স্থান নির্ধারণে জাজদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই বিতর্কের উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্সকে আরো নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করার জন্য সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মতিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এখন থেকে নির্বাহী কমিটির কেউ জাতীয় দলের কোচ হতে পারবেন না। এবং কোনো দল বা সংস্থার কোনো কোচকে ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাজ বা বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে না।’
এই সিদ্ধান্তকে দেশের অ্যাথলেটিক্সবোদ্ধারা সাধুবাদ জানালেও তাদের বক্তব্য, এটা কতটুকু কার্যকর ও কতদিন বজায় রাখতে পারে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন তা সময়ই বলে দেবে। অন্য ফেডারেশনগুলো অ্যাথলেটিক্সকে অনুসরণ করে কিনা সেটাও দেখার বিষয়! কারণ অ্যাথলেটিক্স ছাড়াও হ্যান্ডবল, কাবাডি, কারাতে সহ অনেক ফেডারেশনেই কোচ, কর্মকর্তা, রেফারির দায়িত্বে দেখা যায় নির্বাহী কমিটির একই ব্যক্তিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।