Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেকর্ড পরিমাণ বাড়ছে তাপমাত্রা, গলছে বরফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা প্যান্ডেমিকে দীর্ঘ লকডাউন বিশ্ব প্রকৃতিতে বদল আনতে শুরু করেছিল। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নেপথ্যে অন্যতম খলনায়ক গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু পৃথিবী ক্রমাগত উত্তপ্ত হচ্ছে। সারাবিশ্বে পানির তাপমাত্রা নির্ণয় করে দেখা গেছে, ২০২০ সালে মহাসাগরে যে পরিমাণ উত্তাপ সঞ্চিত আছে তা ১৯৫৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। গত ১৩ জানুয়ারি এই বিষয়ে অনলাইনে অ্যাডভান্স ইন অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্স নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সমুদ্রে তাপমাত্র বাড়ার ফলে গ্রীনল্যান্ড ও আন্টার্টিকায় বরফ গলতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে এই উষ্ণতা গ্রীষ্মকালীন ক্রান্তীয় ঝড়কেও গতি দিচ্ছে। গবেষকরা মুর সেন্সর, আর্গো ফ্লোটস, আন্ডার ওয়াটার রোবট এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাপমাত্রা ডাটার মাধ্যমে সমুদ্রের উপরের ২,০০০ মিটারের উপরে কতটা তাপশক্তি সংগ্রহ রয়েছে তা অনুমান করেছেন। দেখা গেছে, ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের গড়ের নিরিখে ২০২০ সালে মহাসাগরের উপরিভাগের পানিতে ২৩৪ সেক্সটিলিয়ন তাপশক্তি রয়েছে। ২০১৯ সালে এটি ছিল ২০ সেক্সটিলিয়ন পানি। মহাসাগরের উষ্ণতা ১.৩ বিলিয়ন কেটলি গরম পানির সমান। বিশ্ব উষ্ণায়ন জোড় থাবা বসিয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল হিমবাহে ফাটল ধরছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২৮ লাখ কোটি টন বরফ উধাও হয়ে গেছে। হিমবাহের এই গলনের প্রভাব হাতেনাতে দেখা গেছে। আন্টার্টিকার বিশাল হিমবাহ থেকে খসে পড়া হিমশৈল ভেসে প্রায় সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের কাছে চলে চসেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাদা রংয়ের কারণে বরফ ব্যাপক বিচ্ছুরণ ঘটা। সাধারণত বরফে ধাক্কা লেগেই আলো ও তাপ মহাকাশে ফিরে যায়। বরফ গলে গেলে ওই তাপ সমুদ্রের পানি শুষে নেবে। গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেকর্ড-তাপমাত্রা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ