Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ইইউ’র কড়াকড়ি, সমালোচনায় ডাব্লিউএইচও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:১৬ পিএম

‘ভ্যাকসিন-জাতীয়তাবাদে’ জাতিংঘের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) বনাম

ভ্যাকসিনপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। যার ফলে, এবার করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানির ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ঘটনায় ইইউ-এর সমালোচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।

কয়েক দিন ধরেই ইইউ অভিযোগ করছিল, তাদের ব্লকের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোকে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে না ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা-র মতো প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। ক্ষোভ প্রকাশ করেই থেমে থাকেনি তারা। সংস্থাগুলোর ভ্যাকসিন রফতানি আটকে দিয়েছে ইইউ। এতে ক্ষতির মুখে অনন্ত একশোটি দেশ। ইইউ-এর ঘোষণা, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো তাদের সঙ্গে হওয়া চুক্তি মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে না-পারলে, এই ব্লকের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রতিষেধক বাইরে রফতানি করতে দেয়া হবে না। তাদের কথায়, ‘আমাদের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাই সবার আগে। যে প্রতিবন্ধকতার সামনে আমরা পড়েছি, তাতে এই পদক্ষেপ করা ছাড়া আর উপায় ছিল না।’

ইইউ-এর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। তাদের উপ-প্রধান মারিঅ্যাঞ্জেলা সিমাও বলেন, ‘খুবই উদ্বেগের বিষয়।’ হু-প্রধান টেড্রস অ্যাডানম ঘেব্রিয়েসাস আগেই বলেছিলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদ শুরু হলে এই পৃথিবীর সেরে ওঠা খুব কঠিন হবে।’ ভ্যাকসিনের সমবণ্টন নিয়ে বারবারই জোর দিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও তার অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলো। তাদের বক্তব্য, ‘প্রতিষেধক সরবরাহ নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা না-হলে মহামারির আগুন নিভবে না। বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা এ ভাবেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে। নৈতিক ব্যর্থতা তো রয়েইছে।’

অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা। সুইডেন ইইউ-এর অন্তর্ভুক্ত দেশ। ও দিকে, ফাইজার-বায়োএনটেক জুটির মধ্যে বায়োএনটেক জার্মান সংস্থা। তারাও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ। তা ছাড়া, বেলজিয়ামে তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধকটি। সেখান থেকেই ব্রিটেনে পাঠানো হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে বিবাদ মূলত অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার সঙ্গে। ইইউ-এর ‘খবরদাড়িতে’ ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া-সহ অন্তত একশোটি দেশ বিপাকে পড়বে। এর মধ্যে বেশ কিছু দরিদ্র দেশও রয়েছে। ইইউ-এর দাবি, এটি একটি সাময়িক পদক্ষেপ। রফতানিতে কোনও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে না। কিন্তু সাময়িক হলেও, নতুন নিয়মে ইইউ-এর বাইরে ভ্যাকসিন পাঠাতে হলে, ব্লকের অনুমতি নিয়েই প্রতিষেধক পাঠাতে পারবে সংস্থাগুলো। ২৭ দেশের গোষ্ঠীর ছাড়পত্র ছাড়া কিছু হবে না।

এটি ছিক যে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে চাপে রয়েছে ইইউ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে- ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ ধরনের আচরণে মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সূত্র: দ্য ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডাব্লিউএইচও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ