Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে কাহিল লালমনিরহাটের জনজীবন, ৩ দিন দেখা মেলেনি সুর্যের

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৩ এএম

ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন দিনে (শুক্রবার-শনিবার সহ আজ রবিবার) সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে।
তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও পশ্চিমের হিমেল হাওয়ায় রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষ চলাচল কমে গেছে। হাতে কাজ না থাকায় চরের অভাবী মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো চরম কষ্টে ছেলে মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহ জেলার ৫টি উপজেলায় তীব্র শীতের কারনে গ্রামাঞ্চল সহ তিস্তা-ধরলা বেষ্টিত ৬৩ চরের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বেকায়দায় । শুক্রবার শনিবার ও আজ রবিবার দিনরাত তীব্র শীত ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সাখে সাথে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা জেলা। গতকাল শনিবার শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবন বির্পযস্ত করে তুলেছে। সন্ধার পর থেকে এর ঘনত্ব বাড়ে। রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। একই অবস্থা শুক্রবার শনিবার সারা দিন হিমেল হাওয়ার কারনে রাস্তা ঘাট ছিল ফাকা। ফলে জেলা শহরের বিপণি-বিতান, রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে লোকজন নাই বললেই চলে।
শুক্রবার থেকে আজ রবিবার সারাদিন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারনে হতদরীদ্র মানুষগুলো আগুন জালিয়ে শীত নিবারন করছে। এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।। ফলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রাম। ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা বেচা-কেনা না থাকায় তারা দোকান গুছিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। রিকশাচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরাও ভাড়ার আশায় আর বসে থাকছেন না।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট শহরের স্টেশন এলাকার রিকশাচালক মোস্তাফিজার রহমান (গান্ধী) বলেন, গত শুক্রবার রিকশা চালানো গেলেও শনিবার থেকে আজ রবিবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি। সবজি বিক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, কুয়াশার কারণে মানুষজন বের হচ্ছে না। এ কারণে অর্ধেক সবজিও বিক্রি হয়নি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামীম আশরাফ বলেন, বাতাসের আদ্রতা প্রায় ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ হওয়ায় কুয়াশার এত ঘনত্ব বেড়েছে। আবহাওয়ায় উচ্চ বলয় চাপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাপমাত্র সর্বনি¤œ ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তবে জেলার কোথাও কোথাও তা ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রয়েছে। কুয়াশা আরও দু-একদিন থাকতে পারে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্যপ্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ