কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, প্রার্থীর ভোট বর্জন ও ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় ধাপের ৬২ পৌরসভার ভোট গ্রহণ। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়। এরপর কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনায় এরই মধ্যে বেশি কিছু পৌরসভায় মেয়র পদের ফলাফল পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে জয়ী বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
জয়ী মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন : দিনাজপুরের হাকিমপুরে এন এম এম জামিল হোসেন চলন্ত, বগুড়ার শিবগঞ্জে তৌহিদুর রহমান মানিক ও নন্দিগ্রামে মো. আনিছুর রহমান, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে মো. শহিদুজ্জামান, নাটোরের সিংড়ায় মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মো. মতিয়ার রহমান, বরগুনা সদরে মো. কামরুল আহসান (মহারাজ), শেরপুরের নকলায় মো. হাফিজুর রহমান ও নালিতবাড়ীতে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, ময়মনসিংহের ভালুকায় এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মো. শওকত উসমান, মৌলভীবাজারে মো. ফজলুর রহমান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আ স ম মাহবুব উল আলম ও ফেনী সদরে নজরুল ইসলাম স্বপন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগ জি এম মীর হোসেন মীরু জয়লাভ করেছেন।
দুটি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। তারা হলেন বগুড়ার গাবতলীতে মো. সাইফুল ইসলাম ও কাহালুতে মো. আব্দুল মান্নান। বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী এ জি এম বাদশাহ, সিলেটের গোলাপগঞ্জে মো. আমিনুল ইসলাম ও জকিগঞ্জে আবদুল আহাদ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মো. খালেদ সাইফুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নড়াইল পৌরসভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা ও কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় স্থগিত থাকা একটি কেন্দ্রে আজ ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই কেন্দ্রের ফলসহ মোট ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. পারভেজ মিয়া আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সালমা দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু নির্বাচিত হয়েছেন।