রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে খিলগাঁওয়ে নবীনবাগ এলাকায় পুলিশের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ষষ্ঠ তলা থেকে পড়ে মো. রাকিব (২৪) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এ দুর্ঘটনা ঘটে। নির্মাণাধীন ১৪ তলা ভবনটি বাংলাদেশ পুলিশের কয়েকজন সদস্য মিলে বানাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহত রাকিব নির্মাণাধীন ওই ভবনেই থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার আইহাই গ্রামে। তার বাবা মৃত সোলাইমান হোসেন। নিহত রাকিবের সহকর্মী মো. আরিফ জানান, রাকিব দেড় মাস ধরে নির্মাণাধীন এই ভবনে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গতকাল সকালে ওই ভবনের দেয়ালে পানি দেয়ার সময় অসাবধানতাবশত ষষ্ঠ তলা থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খিলগাঁও থানার এসআই মাকছেদুর রহমান বলেন, পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে খিলগাঁওয়ের নবীনবাগে এ ভবনটি নির্মাণ করছেন। যা পুলিশ প্রজেক্ট নামে এলাকায় পরিচিত। গতকাল সকালে সেখান থেকেই কাজ করার সময় ভবন থেকে পড়ে গিয়ে রাকিবের মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল খান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল দুপুরে আদাবর রিংরোড জাহাজ বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে বন্দনা রানী (২৪) নামে এক নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বন্দনার গ্রামের বাড়ি যশোরের বাগাড়পাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আনন্দ পাল।

আদাবর থানার এসআই শংকর বালা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এসআই জানান, শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বন্দনা। আদাবর রিংরোডের বাসায় থাকতেন তিনি। কয়েকজন সহকর্মীর কাছ থেকে জানা গেছে, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এ কারণেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।