বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের গৌরিপুর পৌরসভা নির্বাচনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট ছিনতাইসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে দিনভর নৌকা সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তারের মধ্যেও প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে শেষতক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নারিকেল গাছ প্রতিকে বিজয়ী হয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, সকাল থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ছিল উপচেপড়া ভীর। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ব্যালট ছিনতাই, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা, ভাঙচুর ও জালভোট প্রদানের মধ্যদিয়ে শনিবার তৃতীয় দফায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
বেলা ১২টার দিকে গৌরীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যাবার সময় হাতেনাতে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি শহীদ, জনি ও সাবেক চেয়ারম্যান দুলালসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা থাকা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
এদিকে দুপুর পৌনে একটার দিকে শেখ লেবু স্মৃতি পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে নৌকা ও নারিকেল গাছের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ভিডিও করার সময় ক্যামেরা ভাঙচুর এবং এনটিভি ও ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসনকে বেধড়ক লাঠিপেটা ও মারধর করা হয়। পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বিকেল তিনটার পর ব্যাপক জাল ভোট প্রদান ও সীল মারার ঘটনা ঘটে। কর্তব্যরত পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনেও একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সীল মারতে দেখা যায়।
অপরদিকে ভোট গণনা শুরুর আগে ও পরে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আর কে হাই স্কুল ও উপজেলা পরিষদের সামনে দা লাঠি নিয়ে মিছিল ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ ঘটানো হয়। সন্ধ্যার পর গৌরীপুর পৌর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।