বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর সীমান্ত ঘেঁষা নীলকমল নদেরর উপর ঝুঁকিপূর্ণ রেলিং বিহীন কাঠের সেতু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ পারাপার হচ্ছে এ সেতু দিয়ে। এ ঝুঁকিপূর্ণ ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের কাঠের সেতুটি সীমান্তবাসীর একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও খলিল মিয়া জানান ফুলবাড়ী ইউনিয়নের নাখারজান সীমান্তের নীলকমল নদের উপর একটি কাঠের সেতুটি তৈরি করা হয়। সেতুটির পাশের আন্তর্জাতিক ৯৪০নং মেইন পিলার রয়েছে। ৩ নং সাব পিলারের ৫০গজ অদূরে এ সেতুটি দিয়ে চলাচল করছেন প্রশাসন ও বিজিবিসহ সাধারণ মানুষ । কলসের মত ভূ-খন্ড নাখারজান গ্রামটির তিন দিকে রয়েছে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া। দক্ষিণে নীলকমল নদ। প্রায়ই বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা টহল দিতে আসেন এখানে। ভাঙনের কারণে নদীটি কখনো ভারতে আবার কখনো বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি ছোট আকারের হলেও বর্ষার সময় পানিতে ভরে থাকে। প্রচুর স্রোত হয় বর্ষা মৌসুমে। নানান ঝুঁকির মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের পারাপার হতে হয়। এতে বহুবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে । তৎকালিন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন ১৯৮৭ সালে এই নদরে উপর কাঠের সেতুটি তৈরী করেন।২০০১ সালের পর সেতুটি পারাপারে অনুপোযোগী হয়ে পরে। ১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে পুনরায় একটি কাঠের সেতু নির্মান করা হয়। গ্রামবাসিরা জানায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থায়ীভাবে একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবী গ্রামবাসিদের। প্রশাসন এ সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তাদের দুর্ভোগ শেষ হবে । অথচ ভারতের প্রশাসন অনেক সেতু দ্রত নির্মাণ করে দিয়েছে সীমান্তে এলাকায় । তারা পাচ্ছে না কেন? এ প্রশ্ন গ্রামবাসিদের।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ-হারুন জানান, নীলকমল নদীর উপর পুনরায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে । লোকজনও চলাচল করছেন। তবে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল অনেক বার। ভারতীয় বিএসএফের বাধার কারণে তা করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আসিব ইকবাল রাজিব জানান নাখারজান নদের উপর সেতু নির্মাণের প্রয়োজন। তবে সীমান্তে এ সেতু নির্মাণে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। সেতু নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।