Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সূচকে আরো অবনতি: দুর্নীতিবাজদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমে

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৪২ পিএম

দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আরো দুই ধাপ নীচে নেমে আসায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। সর্বশেষ এই সূচক প্রকাশের পর দুর্নীতিবাজদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করে ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নীচের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম অবস্থানে আছে। যেটা সিপিআই-২০১৯ এর তুলনায় দুই ধাপ নীচে নেমেছে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৯ সালে নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪ তম।

ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে কাওছার আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘‘এইসব দূর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বাঁধা। উন্নত জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শুধু দূর্নীতি নামক মহামারীই যথেষ্ট। তাই জননেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করুন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাথা ব্যথার কারণ ছিল এ দূর্নীতি।’’

মোঃ আরশাদ উল্ল্যাহ লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন সরকারি অফিস যেমন পাসর্পোট, বিআরটিসি, ভূমিসহ যে কোনো নিবন্ধন অফিসে দূর্নীতি এখন চরম পর্যায়ে,,। দালাল ছাড়া সেবা নিতে গেলে ভোগান্তির শেষ নাই।’’

শেখ হাবিব লিখেছেন, ‘‘যে দেশে সাধারণ শাকসবজি ফলমূল মাছ টাও পর্যন্ত চুরি হয়ে যায় সে দেশের রাজনৈতিক নেতা বা সরকারের কাছে এরচেয়ে ভালো কি'বা আশা করা যায়। আসলে দুর্নীতিটা আমাদের সিংহভাগ মানুষের রগে রগে ঢুকে গেছে। গ্রাম হোক বা শহরে নিজের দুর্নীতি চুরি বাটপারি কেউ দোষের কিছু মনে করি না। দুর্নীতিতে আমাদের বিশ্ব রেকর্ডে ১নং থাকার কথা।’

মোহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘হিশেব তো মিলছে না, বাংলাদেশে যে হারে দূর্নীতি হয় তাতে ১ নম্বরে থাকার কথা।দূর্নীতির তালিকা করতেও দূর্নীতি হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।’’

ওবায়দুল রহমান ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘..বাংলাদেশ এ কেমন দূর্নীতি লজ্জা হওয়া উচিত এ সরকারের। তারা কিনা আবা জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়াগ ঘটাচ্ছে। এই দূর্নীতির উৎস প্রশাসন (পুলিশ) সরকারি আমলা, সরকারের হেভিওয়েট নেতারা আর তাদের অঙ্গ-সংগঠন।’’

আরজে রনি পারভেজ লিখেছেন, ‘‘তাও একদল লোক উন্নয়ন উন্নয়ন বলে ফেনা তুলছে। মুখে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার চাইতে উন্নত দেশ আমাদের।’’

এদিকে, রাওফুন ইসলাম রুবেলের মন্তব্য, ‘একজন দূর্নীতি করে টাকা পাচার না করলে সে টাকা চিবিয়ে খেতে পারবে না। তাকে টাকা ব্যয় করতেই হবে। সে ১ টাকার মাল ১০ টাকা দিয়ে কিনবে টাকা মানুষের কাছে চলে আসবে। আবার যদি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলে সেটাও উন্নয়নের অংশ হবে। তাই অর্থনীতিবিদ অমর্ত্যসেন বলেছেন ‘দূর্নীতি হলেও উন্নয়ন আটকে থাকে না’।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ