Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সাঙ্গা-মাহেলার কাতারে দিলশান’

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বিংশ শতকে অভিষেক হয়ে সদ্য বিদায় বলা কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনিও একজন। এক দিনের ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করা ১১ জনের অভিজাত শ্রেণীতে তিনিও একজন। তার হাত ধরেই ক্রিকেট একটি শটের আবির্ভাব ও নামকরণ করা হয়েছে ‘দিলস্ক্রুপ শট’ নামে। দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিও (২২টি) তার। কিংবদন্তিতুল্য সেই মানুষটি হলেনÑতিলেকারতেœ দিলশান। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে যে নাম জড়িয়ে ছিল ওতোপ্রতোভাবে।
আগেই জানিয়েছিলেন এই সিরিজই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ। গতকাল হঠাৎই বললেন আজই (গতকাল) তার শেষ ম্যাচ। সেই আবেগঘন দিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার সময় সতীর্থদের কাছ থেকে পেলেন গার্ড অব অনার। শেষটা মনের মতো না হলেও লঙ্কান ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় দর্শকদের অভিবাদনে হয়েছেন সিক্ত। বিরোচিত এই সতীর্থকে দেশের দুই মহীরুহ কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের কাতারে রেখেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে নিপুণভাবে সেবা করে গেছেন দিলশান। আমি মনে করি লঙ্কান ক্রিকেটে মাহেলা ও সাঙ্গাকারার মতো সমান অবদান তারও। আমরা তাকে খুব মিস করবো।’
সাবেক লঙ্কান গ্রেটরাও দিলশানের ক্যারিয়ারকে ভাসিয়েছেন ভূয়সী প্রসংশায়। সাঙ্গাকারা এক টুইট বার্তায় তাকে সনাৎ জয়াসুরিয়ার মত ‘গ্রেটেস্ট ম্যাচ উইনার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা তাকে প্রসংসা করে বলেন, ‘তার মতো অল-রাউন্ডার যেকোনো অধিনায়কের কাছেই স্বপ্ন।’ ৩৩০ ম্যাচে ৩৯.২৭ গড়ে ১০২৯০ রানের পাশাপাশি ১০৬টি উইকেট ও ১২২টি ক্যাচ তার নামের পাশে। ফিল্ডার হিসেবেও যেকোনো অধিনায়কের কাছেই দিলশান থাকবেন প্রথম পছন্দের তালিকায়। মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে এক সময় হয়ে ওঠেন তিন ফর্মেটের ক্রিকেটেই দলের গুরুত্বপূর্ণ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিলশানের দল অবশ্য ভালো অবস্থানে নেই। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চায় ১৫ ওভারে ৫২ রান, হাতে আছে ৬ উইকেটে। ৫৫ রানে ব্যাট করছেন বেইলি, ৩৬ রানে ওয়েড। এর আগে ¯্রােতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে একাই লড়ে লঙ্কানদের ২২৬ রানের পুঁজি এনে দেন দিনেশ চান্দিমাল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটে নেমে ৪৯.২ ওভারে আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক। তার ১৩০ বলে ১০২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৭টি বাউন্ডারিতে সাজানো। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা, ২টি করে উইকেট নেন স্টার্ক, হেস্টিংস ও ফাকনার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘সাঙ্গা-মাহেলার কাতারে দিলশান’
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ