Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

কৃষিজমিতে অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণ

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

 বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার সর্বত্র আবাদি জমি ভরাট করে বাসগৃহ, দালানকোঠা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট নীতিমালার অভাবে কৃষিজমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেছেন। এতে উপজেলায় প্রতি বছর গড়ে ৪০-৫০ হেক্টর কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার সব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শস্য উৎপাদন হয় আমতলী ও তালতলীতে। গত এক বছরে ভরাট করে ঘরবাড়ি, গ্রাম্য সড়ক, ইটভাটা স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে মোট ফসলী জমি কমেছে দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ৪০-৫০ হেক্টর কৃষি জমি চলে গেছে অকৃষি খাতে। জনসংখ্যার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়কের পাশে সুবিধা মত স্থানে বসত ভিটা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে গত কয়েক বছরে অধিকাংশ আবাদি জমি কমে গেছে। গ্রামের অনেকে প্রবাসী দেশে এসে প্রতিযোগিতা করে রাস্তার পাশের জমি ক্রয় করে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, যে হারে আমতলী ও তালতলী উপজেলার আবাদি কৃষি জমি ভরাট করে দালান কোঠা, ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে কয়েক বছর পর কৃষি উৎপাদন মারাত্মক হারে কমে যাবে। অনেকেই যোগাযোগ ও ব্যবসার সুবিধার কারণে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা সরকারি খাস জমি ডোবা, পরিত্যক্ত জায়গা ও কৃষি জমি ভরাট করে ঘর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।

বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ. অদুদ খান বলেন, ঢাকায় একটি মিটিং এ কৃষি মন্ত্রীকে আমরা বলেছি একটি কঠোর আইন-নীতিমালা করা উচিৎ কারণ কৃষি জমিতে যদি এভাবে ঘর-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে তাহলে এক সময় ফসলী জমি থাকবে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকারিভাবে একটি নীতিমালা তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে খাদ্য ও পরিবেশের ওপর।

জানা যায়, কৃষি জমির ওপরের ৬ ইঞ্চি পরিমান মাটি উর্বর। যে সব জমির উপরের মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করা হয় সে জমিতে নানা প্রকার জৈব সার প্রয়োগ করে আবারও উৎপাদনক্ষম করে গড়ে তুলতে কমপক্ষে ৪-৫ বছর সময় লেগে যায়। আর এ সময় কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায়। সচেতন মহল মনে করেন কৃষি জমি রক্ষার জন্য এখনই সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দশকের মধ্যেই দেশের সবটুকু কৃষি জমি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ