Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিগ থ্রি’র অবস্থান এখনো পরিষ্কার নয়

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : আইসিসি’র গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্টের পাশে চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে আইসিসি পরিচালনায় যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে শ্রীনিবাসনের অপসারণের পর নুতন চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের প্রস্তাবে ‘বিগ থ্রি’র সেই ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে, সেই খবরটির সত্যতা খুঁজে পাচ্ছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। আইসিসি’র সভা শেষে দেশে ফিরে গতকাল মিডিয়াকে এ তথ্যই দিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ ‘আসলে মিডিয়াতেই বেশি দেখছি ব্যাপারটি। বিগ থ্রি নিয়ে তো তেমন কিছুই হয়নি। আইসিসি’র চেয়ারম্যান যিনি, তিনি একটি বোর্ডেরও প্রতিনিধিত্ব করেন, এটাতে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হতে পারে। কারণ আইসিসির চেয়ারম্যান হবেন নিরপেক্ষ, সবার জন্য সমান। একটি নির্দিষ্ট দেশের প্রতিনিধিত্ব তিনি করতে পারেন না। সেজন্যই গঠনতন্ত্রের সংশোধনী আনা হয়েছে। আইসিসির চেয়ারম্যান যেদিন হবেন, সেদিনই তার দেশের বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। আইসিসির বোর্ডে ওই দেশের আরেকজন প্রতিনিধি আসবেন। এটাই ছিল মূল ইস্যু।’
আইসিসি থেকে আয়ের বড় অংশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে বন্টনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে ২০১৪ সালে, সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড তার অবস্থানের পরিবর্তন এখনো করেনি। তবে বিসিসিআই সভাপতি এবং আইসিসি চেয়ারম্যান আর্থিক ইস্যুতে কিছুটা ছাড় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাপনÑ ‘ওখানে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শশাঙ্ক মনোহর সাহেব একটি অঙ্ক ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলাপ করবেন। তারা অনুমোদন দিলে একটি অংশ অন্যদের দিয়ে দেয়া হবে। সেই অংশটি ছয় শতাংশের মতো হবে।’
গত বুধবারের আইসিসির সভায় এক্সকো’র স্থায়ী সদস্য পদ উন্মুক্ত করে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যা গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হবে। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী প্রস্তাব আনতে শশাঙ্ক মনোহর এবং জাইলস ক্লার্কের সঙ্গে কমিটিতে আছেন পাপন। আগামী ২৯ মার্চ মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠেয় সভায় এই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন পাপনÑ ‘এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তার আগে গঠনতন্ত্রে একটি পরিবর্তনও আনতে হবে। সেজন্য একটি কমিটিও করা হয়েছে। আমরা ২৯ মার্চ বসে চূড়ান্ত করব।’
নিরাপত্তা শংকার অজুহাতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের দল প্রত্যাহার করায় আইসিসি’র সর্বশেষ সভা উত্তপ্ত হবে বলে ধারণা করা হলেও এই ইস্যু নিয়ে নাকি কোন কথাই ওঠেনি বলে জানিয়েছেন পাপন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুন আয়োজনে আইসিসি’র ওই সভায় স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে সবাইÑ ‘এই বিষয়টি আইসিসির সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। তবে সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে প্রশংসা করেছে। সভায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরাও ছিল। তারাও নিশ্চয়ই শুনেছে ব্যাপারটা।’
আইসিসি’র এই সভায় যোগ দিয়ে এফটিপির বাইরে বেশ কিছু ম্যাচ এবং সিরিজ খেলার ব্যাপারে আশানুরূপ সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ ‘টুয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে বেশ ক’টি দেশের সঙ্গে আমাদের খেলার ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সবাই আমাদের সঙ্গে খেলতে রাজি আছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিগ থ্রি’র অবস্থান এখনো পরিষ্কার নয়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ