পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রিটিশ শাসনাধীন বাংলার পশ্চাৎপদ ও বঞ্চিত মুসলমানদের মনে জাতিসত্তার চেতনার রাজনীতি যারা সৃষ্টি করেছিলেন তাদের মধ্যে খান এ সবুর ছিলেন অন্যতম। শালীন ও শিষ্টাচারের রাজনীতির ধারক খান এ সবুর উপমহাদেশ বিভক্তির পরও ভারতের সাথে যুক্ত থাকা বৃহত্তর খুলনা জেলাকে ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট বাউন্ডারি কমিশনে আপিলের মাধ্যমে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করেন। ফলশ্রুতিতে যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অংশ হয়েছে। তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সংসদ নেতা খান এ সবুর খালিশপুর ও দৌলতপুরসহ পশ্চাৎপদ বৃহত্তর খুলনাকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করার মাধ্যমে শিল্প বিপ্লবের সূচনা করেন। খান এ সবুরের অবদান ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের মহানায়ক, উপমহাদেশের কিংবদন্তী পার্লামেন্টারিয়ান খান এ সবুরের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল সোমবার বাদ যোহর বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
তার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ খুলনাবাসী ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ সভাপতি খান এ সবুরকে তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত করেন। অথচ রাজনৈতিক মত ভিন্নতার কারণে আজ এই রকম জাতীয় নেতাদের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে কণ্ঠাবোধ করি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে অবশ্যই সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে, না হয় ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, খান আসাদ, প্রকৌশলী ওসমান গনী, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক ও মো. নুর আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।