Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভিক্ষার আড়ালে যৌন হয়রানি

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজশাহীতে ভিক্ষাবৃত্তির সময় ভিড়ের মাঝে নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিতেন বৃদ্ধ এনামুল হক ওরফে বুলু (৬২)। গত রোববার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে।

বুলুর বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীনগর গ্রামে। বুলু রাজশাহী মহানগরীর শেখেরচক পাঁচানীমাঠ এলাকায় ভাড়া থাকেন। স্ত্রী-সন্তান সবই আছে তার। তবু রাজশাহী নগরে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। আর ভিড়ের মাঝে হাত দিতেন নারী ও তরুণীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে।
বুলুকে গ্রেফতারের পর গতকাল সোমবার দুপুরে নগরের বোয়ালিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ভিক্ষাবৃত্তির নামে ভিড়ের মাঝে নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়ার ভিডিওটি রোববার ভাইরাল হওয়ার পর সেটি তাদের দৃষ্টিতে আসে। এরপরই তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে গ্রেফতারের পর এক তরুণী তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত রোববার ধারণ করা হলেও মামলার বাদী বলেছেন, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরই এই বৃদ্ধ তাকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন। মামলার এজাহারে ওই তরুণী বর্ণনা করেছেন, শহরের এক স্থানে ওই বৃদ্ধ সেদিন তাকে বলেছিলেন তিনি হাঁটতে পারছেন না। তাকে যেন ওই তরুণী একটু ধরেন।
ওই তরুণী তাকে ধরলে বৃদ্ধ তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই তরুণী তাকে ছেড়ে চলে যান। রোববার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি তাকে চিনতে পারেন। এরপর সোমবার সকালে শোনেন পুলিশ তাকে আটক করেছে। তাই তিনি থানায় এসে এই মামলা দায়ের করলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়া তার নেশা। ভিক্ষাবৃত্তির নামে এই বৃদ্ধ অনেক দিন ধরেই কাজটি করে আসছিলেন। তারা মাঝে মাঝেই এমন অভিযোগ পাচ্ছিলেন।
কিন্তু তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে শনাক্ত করা সহজ হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সকালে এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক তরুণী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সোমবারই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হেেয়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ