নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঊনসত্তরের মতো গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই বছরেই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে। একটা সিন্দাবাদের দৈত্য ঘাড়ের ওপরে বসে আছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে একমঞ্চে এসে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, সরকার ডাকাতি করে মানুষের ভোটধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের কাছে ভোট নেই। মানুষের ভোটাধিকার সরকার দেবে না। যেভাবেই হোক তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। এই দুর্নীতিবাজ, ডাকাত ও লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে জনগণ এবার জাগবে। জনগণকে সাথে নিয়ে মধ্যরাতের অবৈধ সরকারকে হটানো হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি আর অপচয় এই সরকারের অপর নাম। প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কার্যকলাপে তাদের (সরকারের) দুর্নীতি দৃশ্যমান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমাদের অধিকার। প্রতিটি জনগণের এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পত্রিকা খবর বেরিয়েছে করোনার কারণে দেশে দারিদ্র্যতা বেড়েছে।
দেশের সব মানুষকে বিনাম‚ল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‹ওখানে (ভারত) নরেন্দ্র মোদি এখনও ভ্যাকসিন নেননি, এখানে আমার প্রধানমন্ত্রীও নিতে রাজি হলেন না। ব্যাপারটা কী? এটিই তো সন্দেহের। আমি বলি আমার নাম যদি তালিকায় আসে, আমি টিকা নিব। আপনারাও টিকা নিবেন, এটা আমাদের অধিকার। সভায় অন্যদের মধ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত মাহমুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।