পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কামাল আতাতুর্কের প্রেতাত্মারা পরাস্ত : এরদোগান তোমায় সালাম
মোবায়েদুর রহমান : তুরস্কের বীর জনতা ১৫ জুলাই রাতে এবং ১৬ জুলাই দিনের প্রথমার্ধে যে অমিত বিক্ষোভ দেখালেন সেটি দেখে এবং শুনে ফিরে যেতে হয় ৪১ বছর আগের বাংলাদেশে। সেটি ছিল ১৯৭৫ সালের ৬ই নভেম্বরের দিবাগত রাতের মধ্য প্রহর এবং ৭ই নভেম্বরের সোনালী সকাল। আমি এবং আমার দুই বন্ধু সেই সাত সকালে গিয়েছিলাম হোটেল শাহবাগের মোড়ে। দেখা গেল, ট্যাংকগুলো নির্বাক দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই ট্যাংকের ওপর উঠেছেন সাধারণ মানুষ। তারা সকলে ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাসে নৃত্য করছেন। শাহবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চারদিকে দেখা গেল ভার্সিটি এন্ড, মৎস্য ভবন এন্ড, বাংলা মটর এন্ডসহ সব দিক থেকে আসছেন অগণন মানুষ।
তাদের কণ্ঠে গগন বিদারী শ্লোগান, “না’রায়ে তাকবীর / আল্লাহু আকবার।” “সিকিম নয়, ভূটান নয় / এদেশ আমার বাংলাদেশ।” সেদিন সেই সময়কার জনগণের প্রিয় নেতা জেনারেল জিয়াউর রহমানকে একদল বিপথগামী সৈন্যের জিন্দানখানা থেকে বের করে এনেছে দেশ প্রেমিক বীর সিপাহীরা। শুরু হয়েছে সিপাহী-জনতার বিপ্লব।
ভিন্ন রূপে ৭ই নভেম্বর
সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই তুরস্কে। তবে প্রেক্ষিত কিছুটা ভিন্ন। আর তুর্কি জনতার স্পিরিটও অনেক হাই। বন্দিদশায় জিয়াকে হত্যা করার কোন চেষ্টা হয়নি এবং জিয়াও সেদিন বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেননি। সৈন্যরা নিজেরাই তাদের প্রিয় নেতাকে বন্দিদশা থেকে বের করেছে, সিপাহী-জনতার বিপ্লবের সূচনা ঘটেছে এবং আনন্দ-উল্লাসে গুলি ফোটাতে ফোটাতে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু তুরস্কে এক শ্রেণীর বিপথগামী সেনা সদস্য ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় নেমেছে জনগণের নির্বাচিত নেতা প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে শুধু ক্ষমতা থেকে উৎখাত নয়, তার জীবন নাশ করার জন্য। প্রেসিডেন্ট এরদোগান দক্ষিণ তুরস্কের পর্যটন শহর মারমারিসে অবকাশ যাপন করছিলেন। বিদ্রোহের খবর শুনে তিনি ইস্তাম্বুল রওয়ানা হওয়ার জন্য হোটেল ত্যাগ করেন। তার হোটেল ত্যাগ করার কয়েক মিনিট পর বিদ্রোহী সৈন্যরা বিমান থেকে তার হোটেলের ওপর গুলি বর্ষণ করে। উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে জানে মেরে ফেলে দেওয়া। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে, আর মারে আল্লাহ রাখে কে। জনতার নেতা এরদোগান হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু তিনি কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ততক্ষণে এরদোগান সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে বিদ্রোহী বাহিনীর একটি অংশের বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে। গত রবিবারের সব জাতীয় দৈনিকে প্রধান শিরোনাম হিসেবে তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইস্তাম্বুল থেকে তুরস্ক প্রবাসী বাংলাদেশী হাফিজুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান এবং সফল গণঅভ্যুত্থানের যে খবর দিয়েছেন সেটি নিউজ এজেন্সিগুলোর খবর থেকে কিছুটা আলাদা।
ফেসবুকে হাফিজুর রহমানের স্ট্যাটাস
হাফিজুর রহমান বলেছেন, রাত তখন আনুমানিক সাড়ে ১০টা। ক্যান্টিনে তিনি রাতের খাবার গ্রহণের জন্য গিয়েছেন। হঠাৎ দেখলেন, ইস্তাম্বুলের আকাশে প্রচ- শব্দ করে জঙ্গি বিমান টহল দিচ্ছে। তখন ক্যান্টিনের টিভি স্ক্রলে তিনি দেখেন একটি খবর। ইস্তাম্বুলের এশিয়া ইউরোপ সংযোগ সেতুটি বন্ধ করে সেনাবাহিনী রাস্তা আটকে টহল দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয় সেনাবাহিনী এবং আতাতুর্ক বিমান বন্দর তাদের দখলে নিয়ে নেয়। তারপর ধীরে ধীরে একে একে সেনাবাহিনী ক্ষমতাসীন একে পার্টির অফিস, প্রেসিডেন্টের অফিস, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস দখল করে নেয়। এরপর রাষ্ট্রীয় টিভি থেকে ঘোষণা জারি করা হয়, “সমগ্র তুরস্কে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলসহ প্রধান প্রধান শহরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। জনসাধারণকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে, তারা যেন ঘরের বাইরে বের না হন।”
এভাবে আরো দেড় ঘণ্টা সময় গড়িয়ে যায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম মিডিয়াকে জানান, সেনা বাহিনীর একটি অংশ ক্যু করেছে। কিন্তু তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। হাফিজুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, জনগণ প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় কোন ভরসা পাচ্ছিলেন না। রাত ১২ টা ২০ মিনিট থেকে ১২ টা ২৫ মিনিট। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ‘ফেস টাইম’ নামক একটি মোবাইল এ্যাপ ব্যবহার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ঐ ভাষণে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা চালিয়েছে। ওরা ট্যাংক, বিমান এবং হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন এবং ওদেরকে প্রতিরোধ করুন। তিনি আরো বলেন, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্তাম্বুল বিমান বন্দরে নামছি। আপনারা সকলে সেখানে আসুন। আপনারা সকলে রাস্তায় নামুন এবং আমিও আপনাদের সংগে রাস্তায় নামছি। এরপর সময় মাত্র ১৫ মিনিট। প্রেসিডেন্টের এই আহ্বানের পর হাজার হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। স্রোতের মত মানুষ ছুটতে থাকে ইস্তাম্বুল বিমান বন্দর অভিমুখে। লক্ষ কণ্ঠে ধ্বনিত হয় একটি শ্লোগান। আর সেটি হলো, “না’রায়ে তাকবীর / আল্লাহু আকবার।” আল্লাহু আকবার তাকবীর লক্ষ মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে। হাফিজুর রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বর্ণনা অনুযায়ী, কিছুক্ষণের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্রোহী বাহিনীর ট্যাংক অভিমুখে ছুটে যায় এবং ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষের এমন প্রতিরোধ দৃশ্য দেখে তুরস্কের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। তারা ট্যাংকের নল ঘুরিয়ে দেয়। জনগণের দিকে তাক না করে তারা নলগুলো আকাশের দিকে তাক করে এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ইস্তাম্বুল বিমান বন্দরে প্রেসিডেন্ট যখন হাজির ছিলেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন তার সমর্থনে তাকে পরিবেষ্টিত রেখেছিলেন তখন মাথার ওপরে একাধিক জঙ্গি বিমান টহল দেওয়া শুরু করে। ঠিক এই সময় তুরস্কের শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং তার সপক্ষে বিদ্রোহীদেরকে প্রতিরোধ করা শুরু করে। অন্যদিক সমস্ত মসজিদ থেকে আযান দেওয়া হয় এবং মাইক্রোফোন যোগে রাস্তায় নেমে এসে এই বিদ্রোহ নস্যাৎ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সমুদ্র উত্তাল জনতা তরঙ্গ দেখে সামরিক বাহিনীর বৃহত্তর অংশ ঘুরে যায় এবং এবং তাদের সাঁজোয়া যানের নলের মুখ জনগণ থেকে ঘুরে আকাশমুখী হয়। এই সব সেনা তখন বিদ্রোহীদেরকে প্রতিহত করা শুরু করে। অন্যদিকে বিমান বাহিনীর কয়েকটি এফ ১৬ জঙ্গি বিমান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং বিদ্রোহী হেলিকপ্টারকে গুলি করে ভূপাতিত করে। বিক্ষুব্ধ জনগণের একটি বড় অংশ ট্যাংকের ওপরে ওঠে এবং সেনা সদস্যদেরকে মারপিট করে রাস্তায় বের করে আনে। এরদোগান ওদেরকে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানালে জনতা তাদেরকে উত্তম মধ্যম দেয়।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সম্ভাব্য কারণ
আজ ১৭ জুলাই, এই সংবাদ ভাষ্য লেখার সময় খবরে দেখলাম যে, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে তুরস্কে এরদোগান সরকার এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তুর্কি সরকারের শ্রমমন্ত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন যে, এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল। পশ্চিমের এক শ্রেণীর রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন যে, সেনাবাহিনীর একটি অংশের সাথে এরদোগানের বিরোধ হলো রাজনৈতিক। তাদের মতে, বিগত সাড়ে ৮ দশক হলো, তুরস্কের মূলনীতি হিসেবে ফরাসি মডেলের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে অনুসরণ করা হচ্ছিল। এই মডেলটি অনেকটা ধর্মহীনতারই নামান্তর। মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তার ৮ বছরের শাসনামলে পবিত্র ইসলামকে নির্বাসন দেওয়ার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন পরবর্তী সরকারগুলো সেগুলোই অনুসরণ করে আসছিল।
ইসলামকে নির্বাসন দেওয়ার জন্য
আতাতুর্কের পদক্ষেপ সমূহ
মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯২৪ সালের মার্চ মাসে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের খেলাফত বিলুপ্ত করেন। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে ইসলাম সংগতিপূর্ণ নয়। আধুনিকতার সাথে তাল রাখতে গেলে অবশ্যই সেক্যুলারিজমকে গ্রহণ করতে হবে। আতাতুর্ক ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ বিলুপ্ত করেন, শরীয়াহ আইন বিলুপ্ত করে ইউরোপীয় আইন জারি করেন এবং সমস্ত ধর্মীয় স্কুল বা মাদরাসা বন্ধ করে দেন। দেশের ৭০ হাজার মসজিদকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেন এবং নতুন মসজিদ নির্মাণ করা বন্ধ করে দেন। মসজিদ সমূহে সেই খুতবাই দেওয়া হয় যেটি মোস্তফা কামাল নির্দেশ করেন। তিনি মুসলমান মহিলাদের হিজাব ও বোরখা পরা নিষিদ্ধ করেন। পুরুষদের তুর্কি টুপি পরা নিষিদ্ধ করেন। এমনকি ‘আল্লাহ’ নামের পরিবর্তে তুর্কি ভাষায় ‘তানরি’ নাম চালু করেন। তিনি মসজিদ থেকে আযান দেওয়া নিষিদ্ধ করেন। কিছুদিন পর ধর্মীয় শিক্ষা বাতিল করা হয় এবং মসজিদগুলোকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। মুসলিম সুফি, ইমাম, এবং মুসল্লিরা আতাতুর্কের এই সব ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপের বিরোধিতা করলে মোস্তফা কামাল যে দমননীতি চালান তার ফলে ৩০ হাজার মুসল্লি প্রাণ হারান।
ইসলামের পর্যায়ক্রমিক পুনরুজ্জীবন
২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরদোগানের এ কে পার্টি তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ইসলামী ঈমান আক্বীদাহ ও শরা-শরীয়াহর পুনরুজ্জীবন ঘটাতে থাকেন। এরদোগান হিজাবের ওপর দীর্ঘ দিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছেন। প্রকাশ্য স্থানে ধর্মীয় আলোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে ইসলামী রীতি নীতি যতটুকু সম্ভব পালন করা হচ্ছে। ফলে ক্ষিপ্ত হয়েছে আতাতুর্কের প্রেতাত্মারা। আজও যারা সেনাবাহিনীতে মোস্তফা কামালের ইসলাম বিরোধী আদর্শের অনুসারী তারা শুরু থেকে এ কে পার্টিকে ধ্বংস এবং এরদোগানকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তারই সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ ঘটলো গত ১৫ তারিখ রাতের ব্যর্থ সেনাঅভ্যুত্থানে।
নজিরবিহীন ইতিহাস
একটি দেশে সামরিক বাহিনী যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন নিরস্ত্র জনগণ কর্তৃক তাদেরকে হটিয়ে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। কিন্তু সেটিই আজ সম্ভব হলো তুরস্কে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম। প্রথমে আমেরিকা, দ্বিতীয় রাশিয়া, তৃতীয় গণচীন, চতুর্থ ভারত, পঞ্চম ফ্রান্স, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, সপ্তম জাপান, এবং অষ্টম তুরস্ক। এই দেশটির সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৫ লক্ষ সদস্য এবং ১ লক্ষ ৮৬ হাজার রিজার্ভ। ট্যাংক ৩ হাজার ৭৭৮টি। বিমান বাহিনীতে রয়েছে ১ হাজার ৭ টি বিমান। তার মধ্যে ২০৭ টি জঙ্গি বিমান। এবং ৬৪ টি এ্যাটাক হেলিকপ্টার। আরো রয়েছে ১৩ টি সাবমেরিন।
নবরূপে এরদোগানের উত্থান
এমন একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর একটি অংশ এরদোগানের সরকারকে উৎখাতের জন্য অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা করেছিল। সমগ্র জাতিকে এই অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য এরদোগান আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার আহ্বানে লক্ষ লক্ষ তুর্কি সাড়া দিয়ে সামরিক বাহিনীর আতাতুর্কপন্থী ইসলাম বিরোধী অংশটিকে দমন করেছে। আধা পশ্চিমা এবং আধা এশীয় তুরস্কে মুসলমান পরিচয়ে শির উন্নত করেছেন রজব তাইয়েব এরদোগান। এরদোগান, তোমায় সালাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।