কিছুদিন আগেই সিকিম থেকে ঘুরে এসেছেন। স্বামী সৃজিত ও মেয়ে আইরাকে নিয়ে ঐতিহাসিক অজন্তা, ইলোরা দেখতে গিয়েছেন মিথিলা। অজন্তা ও ইলোরার নানান ছবি উঠে এসেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়।
১৯৮৩ সাল থেকে মহারাষ্ট্রে এই দুটি স্থান ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে পড়ে।
অজন্তা হল মহারাষ্ট্রে গভীর খাড়া গিরিখাতের পাথর কেটে খোদাই করা প্রায় ৩০টি গুহা-স্তম্ভ। মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ জেলার জলগাঁও রেলস্টেশনের কাছে, আজিন্তা বা অজন্তা গ্রামের প্রান্তে রয়েছে এই গুহাগুলো। অজন্তায় পাওয়া ছবি ও ভাস্কর্য, তৎকালীন বৌদ্ধধর্মীয় শিল্পের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। অজন্তার দেয়ালের চিত্রগুলিতে বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। ফ্রেস্কো ধাঁচের এই দেয়ালচিত্রগুলোর জীবন্তরূপ এবং এগুলো তে নানা রঙের সমৃদ্ধ ও সূক্ষ্ম প্রয়োগ এগুলোকে ভারতের বৌদ্ধ চিত্রশিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শনে পরিণত করেছে। অজন্তাশৈলী ভারতে এবং অন্যত্র যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে জাভাতে। সংশ্লিষ্ট দুই মিনার গোষ্ঠীর সঙ্গে,ভারতীয় ইতিহাসের দুই গুরুত্বপূর্ণ সময় জড়িয়ে আছে। সামগ্রিক অজন্তা গুহা, ভারতীয় শিল্পবিবর্তনের ব্যতিক্রমী সাক্ষ্য বহন করে, সেইসাথে বৌদ্ধসম্প্রদায়ের ভূমিকা নির্ধারণ করে, বুদ্ধিজীবী ও ধর্মীয় প্রেক্ষাগৃহগুলো, ভারতে গুপ্ত এবং তাদের তাৎক্ষণিক উত্তরাধিকারীর বিদ্যালয়গুলো ও অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলো।
আর ইলোরায় রয়েছে ৩৪টি গুহা। যেগুলো চরনন্দ্রী পাহাড়ের অভ্যন্তর থেকে খনন করে উদ্ধার করা হয়েছে। গুহাগুলোতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মন্দিরের স্বাক্ষর রয়েছে। ইলোরায় বৌদ্ধ ধর্মের ১২টি, হিন্দু ধর্মের ১৭টি এবং জৈন ধর্মের ৫টি মন্দির রয়েছে। সব ধর্মের উপাসনালয়ের এই সহাবস্থান সে যুগের ভারতবর্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতির নিদর্শন বহন করে।
শুধু অজন্তা-ইলোরার গুহায় নয়, ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থলেও গিয়েছেন সৃজিত-মিথিলা এবং আইরা। এই ছবি উঠে এসেছে সৃজিতের ইনস্টাগ্রামে ক্যাপশানে লিখেছেন, 'বাদশাহী গোরস্থান'।
সূত্রঃ জি ২৪ ঘন্টা।