Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মতবিনিময় সভায় বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বিলবোর্ড ব্যবসা ধ্বংস নয়, নিয়ন্ত্রণ চাই

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে স্থাপিত বিলবোর্ডগুলোকে নির্বিচারে উচ্ছেদ না করার আহŸান জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ হোক, আমরাও চাই। কিন্তু বিলবোর্ড যেভাবে নির্বিচারে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাতে আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার পথে। আমরা এই ব্যবসার ধ্বংস নয়, নিয়ন্ত্রণ চাই। পাশাপাশি এ বিষয়ক নীতিমালাও চাই।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ বিলবোর্ড অ্যাডভার্টাইজিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টনে অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়র সভায় অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হাজী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বিলবোর্ড ব্যবসা করছি। কেউ ত্রিশ বছর, কেউ চল্লিশ বছর ধরে এ ব্যবসায় আছে। এ জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনকে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের বৈধ ব্যবসাকে অবৈধ বলা হচ্ছে। এতে সমাজে আমাদের হেয় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে বিলবোর্ড হাতে লেখা হতো। এখন ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়। এই ব্যবসার জন্য রাজধানীতে প্রায় ২০ হাজার প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তিন থেকে পাঁচটি অত্যাধুনিক মেশিন রয়েছে। নির্বিচারে বিলবোর্ড উচ্ছেদ হওয়ায় আজ সবকিছু অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি বলেন, নির্বিচারে বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে আমাদের ব্যবসাকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীর পথে বসার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিলবোর্ড ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ীর (ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ) অবস্থাও খারাপ হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ লোক বেকার হতে চলেছে এবং এই উচ্ছেদের কারণে এরই মধ্যে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি রাফেয়া আবেদীন বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নাকি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে? অথচ ঢাকার প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ আমরাই করি। সবুজ ঢাকা গড়তে বিলবোর্ড ব্যবসায়ী সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার আহŸান জানান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসকদের আমলে অনুমোদন দেওয়া মাত্র ১০ শতাংশ বিলবোর্ডে পেয়েছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। বাকিগুলো রাজনৈতিক এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। অবৈধ বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোকÑএতে আমাদের আপত্তি নেই। তিনি বলেন, গত এক বছর আগে ঢাকার দুই মেয়র বলেছেন বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য নীতিমালা তৈরি করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নীতিমালা হয়নি। তিনি বলেন, আমরাও চাই না ঢাকা শহরের যত্রতত্র বিলবোর্ড থাকুক। সৌন্দর্যহানি হোক। সে কারণে দ্রæত বিলবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, কোষাধক্ষ গোলাম সরোয়ার কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহবুব আলম, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আরিফ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন এম. ওমর ফারুক, তোফাজ্জল হোসেন, রেজা করিম, মতিন আবদুল্লাহ, রিয়াজউদ্দিন, সায়ীদ আবদুল মালিক, শাহেদ শফিক, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, মাসুদ রানা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মতবিনিময় সভায় বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বিলবোর্ড ব্যবসা ধ্বংস নয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ