পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরব হলো পবিত্র মক্কা মদীনার দেশ। অথচ সেখানে থেকেও অপকর্ম দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানকার দূতাবাসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশাসন ক্যাডারের ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা কাউন্সিলর লেবার মেহেদী হাসানের বিতর্কিত কর্মকান্ডে রিয়াদ প্রবাসীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মেহেদী হাসান মাত্র ২ বছর আগে সেখানকার শ্রম শাখায় পোস্টিং নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম তথা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ ছিলো। তার অপকর্ম যখন চরমে পৌঁছেছে তখন বিষয়টি তদন্তের জন্য স্বয়ং রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী নিজেই বিষয়টি তদারকি করতে থাকেন। রিয়াদ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রিয়াদস্থ সেইফ হাউজে অবস্থানরত একাধিক প্রবাসী গৃহকর্মীর সঙ্গে মেহেদী হাসানের অসৌজন্যমূলক আচরণে দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হতবাক হন। ফলে রাষ্ট্রদূত ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে অফিস ছুটির দিনেই গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি (বিরত) পত্র প্রদান করেন। সূত্র মতে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতাবাস প্রধান ড.ফরিদ উদ্দিন আহমদ (স্মারক নং-১৯.০১.৯৬৬১.৭০০.০৬.০০১.১৮.১২৫) এক অফিস আদেশে রাষ্ট্রদূতের অনুমতিতে অনিবার্য কারণে মেহেদি হাসানকে কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি (বিরতি) দেয়া হয়। বর্তমানে তাকে রিয়াদস্থ বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। সূত্র মতে, এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সউদীতে বাংলাদেশের ভাব-মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।
বিএমইটির শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে জানান, ইতোমধ্যে রিয়াদ থেকে তাকে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে বদলী তথা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জরুরি ডিও পত্রও দেয়া হয়েছে। তার এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এদিকে,ইতিমধ্যে জেদ্দা কনস্যুলেটের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে এ ধরনের অভিযোগের দরুন জেদ্দা থেকে রাশিয়ার মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ মিশন প্রধান হিসেবে বদলী করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সউদী প্রবাসী বাংলাদেশি মহিলা গৃহকর্মী মিনারা বেগম বর্তমানে সউদীর খামিস শহরের জেলখানায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে। জেদ্দার কনস্যুলেটের ঐ কর্মকর্তার স্থলে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মরত সহকারী হাইকমিশনার নাজমুল হাসানকে জেদ্দায় নিয়োগ করা হয়। মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জেদ্দার অভিযোগের বিষয়ে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা মন্ত্রণালয় থেকে আরো গভীরভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সউদীর রিয়াদ, জেদ্দা ও মদিনায় স্থাপিত সেইফ হাউজে আশ্রয়গ্রহণকারী প্রবাসী মহিলা গৃহকমীদের সুরক্ষারার্থে সরকার প্রতি বছর ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। সেইফ হাউজে আশ্রিতা এসব মহিলা গৃহকর্মীদের অনেকেই দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত এবং নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।