মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গুয়েতেমালা সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী হন্ডুরাসের হাজার হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তারা পায়ে হেঁটে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আশায় নিজ দেশ ছেড়েছেন। তবে গুয়েতেমালা সরকার অবৈধভাবে অভিবাসীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন। দেশটি সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার অন্তত সাত হাজার অভিবাসী গুয়েতেমালার ভাদো হোন্ডো গ্রামের সীমান্তে পৌঁছে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় অনেক অভিবাসী নিরাপত্তা বলয় টপকে সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়েছে। এর আগে শনিবার অন্তত দুই হাজার অভিবাসী নিরাপত্তা বলয় টপকে গুয়েতেমালায় ঢুকে পড়ে। গুয়েতেমালার অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম সারিতে থাকা একটি ছোট দল নিরাপত্তা বাহিনীর বাঁধা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অবস্থান শক্ত করলে বাঁধার মুখে পড়ে অভিবাসীরা। যারা ভেতরে ঢুকে পড়েছে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থার মুখপাত্র আলেজান্দ্রা মিনা বলেন, অভিবাসীদের অধিকাংশেই সহিংসতা, করোনাভাইরাস মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। তারা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ে ভালো জীবনযাপনের আশায় দলবেঁধে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশায় দেশ ছেড়েছেন। তারা প্রত্যাশা করছেন— যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের আশ্রয় দেবেন। গুয়াতেমালার সরকার বলছে— গত শুক্রবার থেকে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদের দেশে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার ৭ হাজার মানুষ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ঢুকে পড়ে। শনিবার আরও প্রায় দুই হাজার অভিবাসী ঢুকে পড়ে। তাদের অধিকাংশই করোনা নেগেটিভ পরীক্ষার সনদ নেই। কিন্তু গুয়াতেমালায় ঢুকতে এ সনদ জরুরি। গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়ামাতেই হন্ডুরাস কর্তৃপক্ষকে অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের আহবান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীদের এই ঢল বন্ধ করতে গুয়াতেমালা, মেক্সিকো ও হন্ডুরাস এরই মধ্যে চুক্তিও করেছে। তবে কোনো চুক্তিই অভিবাসীদের ঠেকাতে কাজে আসছে না। এদিকে বুধবার শপথ নিতে যাওয়া জো বাইডেন সরকার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানাবেন এমন আশায় নিজ দেশ ছেড়ে না আসার আহবান জানিয়েছেন দেশটির শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থার কমিশনার মার্ক মরগ্যান। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তন হলেও আইনের শাসন ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি প্রভাবিত হবে না। করোনা মহামারিকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিতে আমরা প্রস্তুত নয়। আপনারা সময় ও অর্থ নষ্ট করে নিজ দেশ ছেড়ে বের হবেন না।’ বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।