মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর মাত্র একদিন হোয়াইট হাউসে থাকবেন ট্রাম্প। শেষ কর্মদিবস আগামীকাল মঙ্গলবার। এখন তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে একের পর এক শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা করছেন। মঙ্গলবার তিনি শতাধিক সাধারণ ক্ষমার আদেশে সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে যারা সাধারণ পাবেন তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত রোববার হোয়াইট হাউসের বিশেষ এক সভায় এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। খবর সিএনএনের।
এর মধ্যে দণ্ড মওকুফ, বিচার থেকে দায়মুক্তি এবং দণ্ড কমানোর আদেশ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত ৯৪ জন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মুক্তি ও সাজা কমিয়ে দিয়েছেন।
১৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেষ পূর্ণ কর্মদিবস। ২০ জানুয়ারি দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সাধারণ ক্ষমাপত্রে সই করতে পারবেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- রোববার দিনভর হোয়াইট হাউসে তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন তার নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান করবেন, কাউকে কাউকে অপরাধ থেকে আগাম মুক্তিও দেবেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের শেষ মুহূর্তের সহযোগীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিএনএন এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, হাজার হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমার তালিকায় নাম ঢোকানোর তদবির চলেছে শেষ মুহূর্তে।
৩ নভেম্বর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা শুরু করেছেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা থেমে যায়।
এখন ট্রাম্পের হাতে আর সময় নেই। তাঁর পরিবারের লোকজন, রাজনৈতিক সহযোগী, আইনজীবী রুডি জুলিয়ানিসহ অনেককেই আগাম সাধারণ ক্ষমা বা বিচারপ্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা তিনি সই করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ সাধারণ ক্ষমার তালিকায় কাদের নাম থাকছে, তা জানা যায়নি। শোনা যায়, ট্রাম্প তাঁর নিজের জন্য ক্ষমাপত্রে সই করতে পারেন। মার্কিন সংবিধানে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমাপত্রে সই করতে পারেন কি না, এ নিয়ে মার্কিন আইন বিশ্লেষকেরা অনেকটাই বিভক্ত। কারণ, বিষয়টি নিয়ে আর কখনো সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা হয়নি। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিজের ক্ষমাপত্রে সই করার ক্ষমতা রাখেন। সূত্র : সিএনএন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।