মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতা জো বাইডেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত মার্কিনী অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ সামিরা ফাজিলিকে হোয়াইট হাউসে অন্যতম প্রধান পদে নিয়োগ করছেন। তিনি হলেন দ্বিতীয় কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত যিনি বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম প্রধান পদে নিয়োগ হলেন। এর আগে ডিসেম্বর মাসে প্রথম কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত হিসাবে আইশা শাহের নাম ওঠে হোয়াইট হাউসে অফিস অফ ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজিতে পার্টনারশিপ ম্যানেজার হিসেবে।
হোয়াইট হাউসে ন্যাশনাল ইকোনোমিক কাউন্সিল-এর ডেপুটি ডিরেক্টর পদের জন্য সামিরা ফাজিলের নাম ঘোষণা করে। ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল সমন্বয়সাধন করে অর্থনৈতিক নীতি তৈরির প্রক্রিয়া এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপারে পরামর্শ দেয়ার ব্যাপারে। বাইডেন-হারিস ট্রানজিশন সময়ের অর্থনৈতিক এজেন্সিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সামিরা ফাজিলি। আগে তিনি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ আটলান্টায় কাজ করেছেন। সেখানে তিনি ছিলেন এনগেজমেন্ট ফর কমিউনিটি ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এর ডিরেক্টর। ওবামা বাইডেন প্রশাসনের সময় ফাজিলি হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনোমিক কাউন্সিল এ সিনিয়র পলিসি এডভাইজার রূপে কাজ করেছেন এবং সিনিয়র এডভাইজার ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অন্তরদেশীয় অর্থ বিভাগ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগে। তার আগে তিনি ইয়াল ল স্কুলের লেকচারার ছিলেন। তিনি মূলত বাফালোর লোক হলেও জর্জিয়াতে বাস করেন স্বামী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে। সামিরা ফাজিলি ইয়াল ল স্কুল এবং হার্ভার্ড কলেজের প্রাক্তনী । তিনি আইনে স্নাতক হন ইয়াল ল কলেজ থেকে এবং হার্ভার্ড কলেজ থেকে সোশ্যাল স্টাডিজ এ স্নাতক হয়েছেন।
ফাজিলির বাবা-মা চেয়েছিলেন তাদের মেয়েকে চিকিৎসক বানাবেন। তবে এখন বাইডেন প্রশাসনে জায়গা পাওয়া নিয়ে তার পরিবার উচ্ছ¡সিত সময় পার করছে। তার পরিবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে থাকে। তার চাচা রউফ ফাজিলি বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত। কাশ্মীরের সকল মানুষ গর্বিত। এটি আমাদের সকলের জন্যই গর্বের। কাশ্মীরের সংস্কৃতিতে সে বড় না হলেও কাশ্মীরের প্রতি তার টান রয়েছে বলে জানান তার চাচা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে ফাজিলি ভারতে এসেছিলেন। সামিরা ফাজিলি তার জীবনে সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। তিনি গøাইডিং, সাতার ও টেনিসে অত্যন্ত পারদর্শী। একইসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোও তার অন্যতম প্রধান শখ।
গত ডিসেম্বরে ভারতের কাশ্মীরি বংশোদ্ভ‚ত আরেক নারী আইশা শাহকে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির পার্টনারশিপ ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় বেড়ে উঠেছেন। এর আগে বাইডেন-হ্যারিস ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল পার্টনারশিপ টিমের পরিচালক ছিলেন। তিনি বর্তমানে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের অ্যাডভান্সমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। সূত্র : ইন্ডিয়া ট্রিবিউন ও জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।