বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র করোনা সংক্রমনের হার এযাবত কালের সর্বনি¤œ পর্যায়ে। এমনকি মৃত্যুহারও যথেষ্ঠ নি¤œমুখি। ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের হার ৩০% হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার বেড়েছিল ৫০%। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে আক্রান্ত ও মৃতের হার আশাতীতভাবে হৃাস পেয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে মোট সনাক্তের সংখ্যা ৭০। আর মারা গেছেন ১ জন। ডিসেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২০, আর মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। তবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বরিশাল মহানগরীই আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
গত অক্টোবরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫১৭। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। নভেম্বরে আক্রান্তের এ সংখ্যা প্রায় ৩৫% বেড়ে ৮৬১’তে উন্নীত হয়। তবে মৃতু হয় ৮ জনের। ডিসেম্বর মৃতের সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে আরো ৫০% বেড়ে ১৩ জনে উন্নীত হলেও আক্রান্তের সংখ্যা ৫২০ জনে হ্রাস পায়।
রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৪৯৮ জনের মধ্যে বরিশাল জেলার সংখ্যাটা ৪ হাজার ৭৮৩ হলেও এরমধ্যে মহানগরীতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৬শ। আর দক্ষিণাঞ্চলে এপর্যন্ত মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৮৫ জনের মৃত্যু হলেও এর মধ্যে মহানগরীতেই মারা গেছেন ৪৬ জন। এমনকি চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৫ জনের মধ্যে মহানগরীতেই ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে এখন করেনা পজিটিভ-এর হার আশাতীতভাবে ৬%-এ নেমে আসেছে। যা ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল ১৭.৪৩%। ৩০ অক্টোবর ছিল ১৭.০৪%. ৩০নভেম্বর ১৬.৬৬% এবং ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে ছিল ১৬.০৩%।
তবে দক্ষিনাঞ্চলে এপর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্ত ১০,৪৯৮ জনের মধ্যে রবিবার সকাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৬ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে বলা হয়েছে । এ অঞ্চলে সুস্থতার হার এখন ৯৫.৩০%।
দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় চলতি মাসের শুরু থেকেই করোনা সংক্রমনের হার আশাব্যঞ্জকভাবে হ্রাস পেতে থাকে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধীক সূত্র জানিয়েছে। তবে নমুনা পরিক্ষার সংখ্যাও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবী করা হয়েছে। তবে এরপরেও সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন যথেষ্ঠ হ্রাসপেয়েছে বলে বিষিশষজ্ঞ চিকিৎসকগনও জানিয়েছেন।
তবে এজন্য এ রোগকেঅবহেলার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়ে পরিস্থিতির ওপর নজরদারী সহ সকলকে পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্য সচেতন থাকার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। একাধিক ভাইরোলজিষ্ট বিষয়টি নিয়ে বিষদ গবেষনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে শীতের এসময়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতির যে আশংকা করা হয়েছিল, তা লক্ষণীয় নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটি বন্ধ রাখতে হয় জীবানুমূক্ত করনে। তবে প্রথম ১৭ দিনে বরিশালে ১ হাজার ২শ নমুনা পরিক্ষায় মাত্র ৫৫ জনের করেনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। সনাক্তের হার মাত্র ৬%-এর মত। অপরদিকে ভোলা জেলা হাসপাতালের ল্যাবেও চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে ২৪৮টি নমুনা পরিক্ষায় মাত্র ১৫ জনের করেনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। সেখানেও সনাক্তের হার ৬%-এর মত বলে জানা গেছে।
অপরদিকে রবিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৪০ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ জনের এবং ভোলাতে ১৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পটুয়াখালীতেও করোনা এন্টিজেন পরিক্ষায় দুজনের পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় সনাক্তের হার ছিল ৬%-এর কম। তবে গত মার্চ থেকে এ যাবতকালের নমুনা পরিক্ষার গড় সনাক্তের হার ১৫.২০%। রবিবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে এযাবতকালের গড় মৃত্যু হার ছিল ১.৮৮%। যা ইতোপূর্বে ছিল প্রায় ২.৭৫%।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।