বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বার বার ভারত পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এবার সেই পেঁয়াজ তার দিলেওর আনছেন আমদানীকারকরা। কারণ দেশী পেঁয়াজের দাম একটু বেশি হলেও মানুষ সেই পেঁয়াজ কিনছেন। ভারতীয় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ায় এবং দেশের বাজারে আমদানি করা পিঁয়াজের দামের তুলনায় দেশি পিঁয়াজের দাম কম থাকায় ও ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা না থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আনছেন না আমদানিকারকরা। ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পিঁয়াজ আনছেন না আমদানিকারকরা। গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে কোনও পিঁয়াজ আমদানি হয়নি।
বাজারের পিঁয়াজের কয়েকজন ক্রেতা জানান, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পিঁয়াজের ও দেশীয় পিঁয়াজের দাম প্রায় একই। ভারতীয় পিঁয়াজের চাইতে দেশীয় পিঁয়াজের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় দেশী পিঁয়াজ কেনাই ভাল।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, সবসময়ই বাজারে দেশীয় পিঁয়াজের চাহিদা বেশি। এরপরও ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজের দাম কম থাকায় সাধারণত বাধ্য হয়েই ভারতীয় পিঁয়াজ কেনেন ক্রেতারা। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় পিঁয়াজের চেয়ে দেশীয় পিঁয়াজের দাম কম থাকায় ভারতীয় পিঁয়াজ কিনছেন না ক্রেতারা। এ জন্য হিলি থেকে তারাও আর পিঁয়াজ আনছেন না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ভারতীয় ও দেশি পিঁয়াজের মধ্যে ৫/১০ টাকা পার্থক্য থাকলে দেশে ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা থাকে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দেশীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা কেজি, অপরদিকে আমদানিকৃত ভারতীয় পিঁয়াজও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ৭ জানুয়ারি থেকে সরকার পিঁয়াজের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এ অবস্থায় বর্তমানে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে আমাদের প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ৩৫টাকা থেকে ৩৭ টাকার মতো পড়ছে। কিন্তু বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩১ টাকা কেজি দরে। এতে আমদানি করা পিঁয়াজে কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ছাড়াও দেশের বাজারে দেশীয় পিঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভারতীয় পিঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই। বর্তমান অবস্থায় পিঁয়াজ আমদানি করে কম দামে বিক্রি করতে হবে এতে লোকসানের আশঙ্কায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পিঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ এসেছে প্রায় ৬০০ টন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।