পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কট করে দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। ভারত বার বার পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করায় এবার তারা সেই পেঁয়াজ দিলেও তা কিনেননি দেশপ্রেমিক জনতা। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে তারা দেশি পেঁয়াজের দাম একটু বেশি হলেও তা কিনছেন।
দেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমের মধ্যে ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। ফলে বিপদে পড়ে যায় দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী লাখ লাখ কৃষক। সর্বনাশের মুখে পড়া এসব কৃষকদের বাঁচাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কটের ডাক ওঠে। এতে ব্যাপকভাবে সাড়া দেন বাংলাদেশি নেটিজেনরা।
পেঁয়াজ আমদানি শুরু পর গেল কদিনে সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে #বয়কট_ভারতীয়_পেঁয়াজ, #boycott_Indian_onion ইত্যাদি হ্যাশট্যাগগুলো। আবার রাস্তায় ফেস্টুন গলায় ঝুলিয়ে পায়ে হেঁটে ভারতীয় পেঁয়াজের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে দেখা যায় হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়োর নামে এক ব্যক্তিকে।
পাশাপাশি গোটা চিত্র তুলে ধরে ‘ভারতের পেঁয়াজকে না বলো’ এবং ‘ভারতের পেঁয়াজ আমদানীতে দেশের পেঁয়াজ চাষীদের সর্বনাশ’ শীর্ষক বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় মূল ধারার অনেক গণমাধ্যমে। এরপর শুরু হয় ভারতীয় পেঁয়াজ বর্জনের প্রক্রিয়া। ফলে চাহিদা না থাকায় ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পিঁয়াজ আনছেন না আমদানিকারকরা। গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকেও ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কটের ডাক দেয়া হয়। মুহুর্তের মধ্যে এসব পোস্ট ভাইরাল হয় এবং এতে ব্যাপক লাইক-শেয়ার-কমেন্ট পড়ে।
তেমনই একটি জনপ্রিয় গ্রুপ Beauty Queen Bangladesh। গ্রুপটিতে প্রায় সদস্য আছে ৩৪ লাখ। গ্রুপ সদস্য আরাফত ইকবাল পেঁয়াজ বয়কটের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘‘যে বন্ধুরা বিনা নোটিশে পেঁয়াজ বন্ধ করে আমাদেরকে ২০০/= টাকা করে পেঁয়াজ খাওয়াইছে, এখন আমরা ঐ বন্ধুদের পেঁয়াজ ২০/= টাকা করে না খেয়ে নিজের দেশেরটা ৩০/= টাকা করে খাবো। তখন ২০০/= করে খেতে পারলে এখন ৩০/= টাকা করেও খেতে পারবো৷ দেশের টাকা দেশে রাখবো। সবাই কি নিয়ত করতে পারি না যে ইন্ডিয়া পেঁয়াজ বাদ দিবো আমাদের দেশি পেঁয়াজ খাবো।
#ভালোবাসো_বাংলাদেশ
#বয়কট_ভারতীয়_পেঁয়াজ
#বয়কট_ইন্ডিয়ান_পেঁয়াজ
#Boycott_Indian_Onion।’’
হ্যাশট্যাগ ‘‘#বয়কট_ভারতীয়_পেঁয়াজ’’ লিখে ‘‘Al Watan বাংলা’’ গ্রুপে লেখা হয়, ‘‘যদি সত্যিই দেশকে ভালোবাসেনযদি সত্যিই দেশের অসহায় মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে প্রতিবাদ করুন, বয়কট হ্যাশট্যাগ ইউজ করুন। ভারত ২৮ ডিসেম্বর থেকে আবার বাংলাদেশে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু করছে! খবরটা দেখেই আতঁকে উঠলাম। এটা তো মারাত্মক ষড়যন্ত্রের অংশ!....এসময় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সরকারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। দেশীয় কৃষকের বাঁশ মেরে দিয়ে ইন্ডিয়ার সাথে পরকীয়া করা যাবে না।
আমজনতার কাছে আবেদন অন্তত এই সময়ে পরিকল্পিতভাবে কেউ ভারতীয় পেঁয়াজ ক্রয় করবেন না। এখন যদি আপনি সতর্ক না হোন, সময় আসলে এরা আপনার পকেট কেটে নেবে। দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদন বন্ধ করতে পারলে আপনার পকেট কাটতে তাদের খুব সুবিধা হয়৷ তাই সবাই দেশীয় পেঁয়াজ ক্রয় করুন। দামে সস্তা হলেও ভারতীয় পেঁয়াজকে না বলুন।’’
জশিম ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কটের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘‘...সবাই কি নিয়ত করতে পারি না যে ইন্ডিয়া পেঁয়াজ বাদ দিবো আমাদের দেশি পেঁয়াজ খাবো।.. সবার উচিত এখনই সাবধান হওয়া, নাহয় ইন্ডিয়া আবারও বাঁশ দিবে এখন দেশি পিয়াজ না কিনে যদি ২০টাকা করে ইন্ডিয়ান পিয়াজ কিনেন তাহলে আগামী বছর আবারও ২০০-২৫০টাকা দরে পিয়াজ কিনে খেতে হবে ১০০% আর ইন্ডিয়া এইটাই চাই বাংলার কৃষক ধ্বংস হোক।’’
সাইমুন সুমন লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রতিটি দেশ প্রেমিকের কাছে অনুরোধ রইল #ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কট করুন.... #দেশি_পেঁয়াজ দাম যদি একটু বেশি হয় তারপর সবাই #দেশী_পেঁয়াজ কিনুন...#Boycott_Indian_Onion.’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।