পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেয়েও বঞ্চিত হয়েছেন আশরাফুল সরকার নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। পক্ষান্তরে মনোনয়ন না চেয়েও রাতারাতি মনোনয়নপত্র পেয়ে গেছেন আমজাদ হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। রাতারাতি এই প্রার্থী বদলের ঘটনা নিয়ে নরসিংদীতে আ.লীগের হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হুতাশা দেখা দিয়েছে। একপক্ষ মনোনয়ন পেয়ে সারারাত শহরে বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে। আরেক পক্ষ মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় সারা শহরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করার জন্য নরসিংদীর এমপি লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু গ্রæপ ঢাকায় নেতাকর্মীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠক শেষে মনোনয়ন বদল সংক্রান্ত ঘটনা এবং নরসিংদী সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন।
জানা গেছে, নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে এবছর মোট ৫ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এরমধ্যে নরসিংদী পৌরসভার বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। অপর গ্রæপ অর্থাৎ বর্তমান এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লে. কর্ণেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতীক সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন যথাক্রমে এস এম কাইয়ুম, মোন্তাজ উদ্দিন ভ‚ঁইয়া, রিপন সরকার ও আশরাফুল সরকার। এরমধ্যে গত বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশরাফুল সরকারকে দলীয় মনোনয়ন দান করেন। এতে বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় বলছেন, আশরাফুল সরকার হচ্ছে মেয়র লোকমান হত্যা মামলার আসামি। সে কিভাবে মনোনয়ন পেতে পারে। আশরাফুল সরকার সমর্থকরা বলছেন, মেয়র কামরুল হচ্ছেন ডাকাতি মামলার আসামি। নরসিংদী পৌরসভার কমিশনার মানিক হত্যা মামলার আসামি। ডাকাতি ও খুনের মামলার আসামি হয়ে মেয় মনোনয়ন বদল সংক্রান্ত ঘটনা কামরুল যদি পৌরসভার মেয়র হতে পারেন, তবে আশরাফুল সরকার শুধু খুনের মামলার আসামি হয়ে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র হতে বাধা কোথায?
এসব ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা শহরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় স্বার্থে কাজ চলাকালীন হঠাৎ রাতারাতি আশরাফুল সরকারের মনোনয়ন বাতিল করে আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এমপি হিরু গ্রæপের নেতা মোন্তজ উদ্দীন ভ‚ঁইয়া জানান, লোকমান হত্যায় অভিযুক্তরা মনোনয়ন পাবে না এটা যেমন গঠনতন্ত্র উল্লেখ নেই খুনি ডাকাতরা মনোনয়ন পাবে তাও গঠনতন্ত্রে লেখা নেই। আইন অনুযায়ী কেউ সাজাপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে তার কোন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। আমরা পূর্ববর্তী মনোনয়ন বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।