Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের ট্যুইট দেখেই গাঁজা খেয়ে ক্যাপিটলে হামলা! হামলাকারীর বয়ানে চাঞ্চল্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১

কিছু দিন আগে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পর বুধবার, ৬ জানুয়ারি হঠাৎই আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প-সমর্থকরা। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকায় রীতিমতো রায়টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মৃত্যু হয় আনুমানিক পাঁচজনের। ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই তার সমর্থকরা এমন কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেও এই হামলা চালানোর ছক কষা হয় বলে জানা যায়।
এই নিয়ে আমেরিকার একাংশ অনুতপ্ত হলেও ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলাকারী একজন একেবারেই অনুতপ্ত নন। তিনি হামলার আগে গাঁজা সেবন করেছিলেন সেনেটর জেফ মার্কলের অফিসে। এবং এই বিষয়টি তিনি নিজেই একটি ডেটিং অ্যাপ বাম্বল-এ জানিয়েছেন।
ব্র্যান্ডন নামের ওই ব্যক্তির কথায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। নিউ ইয়র্কের একটি মুদি দোকানে কাজ করা এই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি ওই দিন প্রথমবারের জন্য ট্রাম্পের সমাবেশে যোগদান করেছিলেন। ট্রাম্পের করা ট্যুইট-ই তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল এই কাজ করার জন্য। তাই তিনি ক্যাপিটলে হামলা চালান। তবে, ক্যাপিটলে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে সে দিন তিনি ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না।
ডেটিং অ্যাপে ওই ব্যক্তি আরও জানান যে, ট্রাম্প মুভমেন্টটা চালু করেছিলেন, কিন্তু হামলাকারীরা বিষয়টা আরও বড় করে তোলে। পরে যা অন্য দিকে চলে যায়। হামলার বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে ব্র্যান্ডনের মত, এই হামলায় প্ররোচনা দিতে ও হামলা চালাতে তা না কি ভালোই লেগেছে। হামলাকারীদের তার পরিবারের মতোই মনে হয়েছে। কারণ তারা সকলে একই কারণে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন।
এদিকে, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতে শুরু করলে, ছবি ও ভিডিও দেখে হামলাকারীদের চেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাঁদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অলিম্পিকের সুইমার ক্লেট কেলার রয়েছেন। ২০০৪ সালে অলিম্পিকে যোগদান করেছিলেন তিনি। তাঁকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার পর গোটা বিশ্বে নিন্দিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হিংসায় প্ররোচণার অভিযোগে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করার অভিযোগে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ইতিমধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেয়া হয়েছে। ট্যুইটার থেকে তার অ্যাকাউন্ট সারা জীবনের জন্য ব্যান করা হয়েছে। ট্যুইটার, ফেসবুক-এর পাশাপাশি এই ধরনের হিংসাত্মক কথা, রাজনৈতিক দ্বেষ ছড়াচ্ছে টেলিগ্রাম, গ্যাব ও পারলারেও। যার ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতেও রাশ টানা শুরু হয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ