মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া কোন নতুন বিষয় নয়। ভুলে গেলে বিভিন্ন উপায়ে তা উদ্ধার করা যায়। তবে সেসব উপায়ে কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো লাভ না হলে আর দুইবার চেষ্টায় সফল না হলে একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। মার্কিন প্রোগ্রামার স্টেফান থমাসের অবস্থা অনেকটা এমনই। তবে এজন্য তাকে বেশ চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। নিজের এক হার্ড-ড্রাইভের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তিনি। আর সেই ড্রাইভে জমা রয়েছে ২৪ কোটি ডলার বা ২০০০ কোটি টাকারও বেশি সমমূল্যের বিটকয়েন। বিটকয়েন হলো ডিজিটাল মুদ্রা। এই মুদ্রার দাম বর্তমানে আকাশচুম্বি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহায়তার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
তার সেই আবেদন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকের সাবেক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান অ্যালেক্স স্টামস তাকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এর বদলে থমাসের ওই অর্থের ১০ শতাংশ ভাগ চেয়েছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরিতে কাজ করেন স্টামস। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক একটি বিটকয়েন এখন ১০০ ডলারের সমান। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার বাজার বেশ অস্থিতিশীল। এই ভার্চুয়াল মুদ্রার মূল্য ভবিষ্যতে বাড়বে না কমবে, সেই বিষয়ে বিভক্ত বিশেষজ্ঞরাও।
অল্পকিছু ডলার : থমাসের জন্ম জার্মানিতে। কিন্তু তিনি বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে। এক দশকেরও বেশি সময় আগে ক্রিপ্টোকারেন্সির কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে একটি ভিডিও তৈরির পারিশ্রমিক হিসেবে ৭ হাজার ২টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে একেকটি বিটকয়েনের মূল্য ছিল মাত্র কয়েক ডলার। সেগুলো ডিজিটাল ওয়ালেট আয়রনকেনির একটি হার্ড-ড্রাইভে জমা করে রাখেন তিনি। সেটির পাসওয়ার্ড লিখে রেখেছিলেন এক কাগজে। তবে সে কাগজ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
নিজস্ব ব্যাংক : আয়রনকেনির হার্ড-ড্রাইভগুলোয় প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বার পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টার সুযোগ রয়েছে। তবে ১০ বার ব্যর্থ হলে হার্ড-ড্রাইভটি স্থায়ীভাবে লক হয়ে যাবে। নিজে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এখন এসব হার্ড-ড্রাইভের উপরেই ক্ষেপে গেছেন থমাস। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজের ব্যাংক থাকার ধারণাটি— এভাবে বলি, আপনি কি নিজের জুতো নিজে তৈরি করেন? আমাদের ব্যাংক আছে কারণ ব্যাংকগুলো যেসব কাজ আমাদের জন্য করে সেগুলো আমরা নিজে করতে চাই না।
প্রবেশ নিষিদ্ধ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থমাসের আহবানে সাড়া দিয়ে ফেসবুকের সাবেক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান স্টামস তাকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, লক হয়ে থাকা ২৪ কোটি ডলার সমমূল্যের বিটকয়েনের জন্য ১০ বার অনুমান করে পাসওয়ার্ড দেয়া উচিৎ না। এর বদলে, আপনার উচিৎ পেশাদারদের সাহায্য নিয়ে ২০টি আয়রনকি ডিজিটাল ওয়ালেট কিনে ফেলা ও ৬ মাস সময় ব্যয় করে একটি সাইড-চ্যানেল খুঁজে বের করা।
থমাসের উদ্দেশ্যে স্টামস আরো লিখেন, আমি ১০ শতাংশ ভাগের জন্য আপনার জন্য এটা করে দেবো। আমায় কল দিন। প্রসঙ্গত, থমাসই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি তার কোটি ডলার সমমূল্যের বিটকয়েনে প্রবেশাধিকার হারাতে যাচ্ছেন। তার আগে আরো অনেকেই একইভাবে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি-উপাত্ত বিষয়ক কোম্পানি চেইনএনালাইসিস অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ বিটকয়েন হয়তো বিভিন্ন ডিজিটাল ওয়ালেটে আটকা পড়ে আছে বা হারিয়ে গেছে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।