গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত ১৬টি ইউনিয়নকে ৩৬টি ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক সীমানা নির্ধারণ করেছে সীমানা নির্ধারক কমিটি। এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এরপর সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সংক্ষুব্ধদের অভিযোগ বিবেচনা করে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে ওয়ার্ডের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে। সীমানা নির্ধারণের ছয় মাসের মধ্যে শুধু কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত নাগরিক সেবা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও সীমানা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ডা. মোহাম্মদ সারোয়ার বারী জানান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে ৩৬টি ওয়ার্ডের প্রাথমিক সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নাসিরাদ ইউনিয়নকে দু’টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বর হচ্ছে ৭৪, ৭৫। দক্ষিণগাঁও ইউনিয়নকে একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বর ৭৩। মান্ডা ইউনিয়নকে দুটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বর হল-৭১ ও ৭২। ডেমরা ইউনিয়নকে দু’টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বর হল ৬৯ ও ৭০। মাতুয়াইল ইউনিয়নকে দু’টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। নম্বর হল ৬৩ ও ৬৪। সারুলিয়া ইউনিয়নকে তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলোর নম্বর হল ৬৬, ৬৭ ও ৬৮। দনিয়া ইউনিয়নকে দু’টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। নম্বর হল ৬০ ও ৬১। শ্যামপুর ইউনিয়নকে দুটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড দু’টির নম্বর ৫৮ ও ৫৯। নতুন ১৮ ওয়ার্ড চূড়ান্ত হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা হবে ৭৫টি।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হরিরামপুর ইউনিয়নকে চারটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বরগুলো হল ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪। দক্ষিণখান ইউনিয়নকে চারটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হল ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০। উত্তরখান ইউনিয়নকে তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলোর নম্বর হল ৪৪, ৪৫ ও ৪৬। ডুমনি ইউনিয়নকে একটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। নম্বর ৫৩। বেরাইদ ইউনিয়নকে একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে। নম্বর হচ্ছে ৪২। সাঁতারকুল ইউনিয়নকে একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে। ওয়ার্ড নম্বর হচ্ছে ৪১। ভাটারা ইউনিয়নকে দুটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড দু’টি হচ্ছে ৩৯ ও ৪০। বাড্ডা ইউনিয়নকে দু’টি ওয়ার্ড করা হয়েছে। নম্বর ৩৭ ও ৩৮। নতুন ১৮ ওয়ার্ড চূড়ান্ত হলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা হবে ৫৪টি।
উত্তরের সীমানা আরও বাড়ছে : এদিকে ঢাকা উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন চিড়িয়াখানার পেছনের এলাকাটি কোনো ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সীমানা নির্ধারণী কমিটি ওই এলাকাটি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছে। এ প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন আরও বাড়বে।
ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন : সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত হওয়ার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ সময় পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান পরিষদকে দিয়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকার। এর মধ্যে কোনো ইউনিয়ন পরিষদ মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ওই পরিষদকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হবে।
শুধু কাউন্সিলর নির্বাচন হবে : বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের স¤প্রসারিত এলাকায় মেয়র নির্বাচন হবে না। শুধু কাউন্সিলর নির্বাচন হবে। সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্তের পর দ্রæততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আগে নির্বাচন, পরে নাগরিক সেবা : নির্বাচনের আগে দুই সিটি কর্পোরেশন ওইসব এলাকায় কোনো নাগরিক সেবা দেবে না। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা জনবল নিয়োগ কোনো কিছুই এ সময়ের মধ্যে করবে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে দুই সিটি কর্পোরেশন।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও সীমানা নির্ধারণ কমিটির সদস্য খালিদ আহমেদ জানান, এখন শুধু নতুন ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চলছে। নির্বাচনের পর সিটি কর্পোরেশন সেবা ও জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও সীমানা নির্ধারণ কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণের প্রাথমিক কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত করার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সিটি কর্পোরেশন সেবা কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, ৫ মে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় রাজধানীর আশপাশের ১৬টি ইউনিয়নকে শহরে রূপান্তর সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ২৮ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর ঢাকা জেলা প্রশাসককে সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এবং তেজগাঁও সার্কেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।