Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরে তৈয়্যবিয়া জামে মসজিদের নির্মাণে বাধা প্রদান ও অপ্রচারের প্রতিবাদ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৫ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে তৈয়্যবিয়া জামে মসজিদের নির্মাণে বাধা প্রদান ও অপ্রচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে শহরের ইসলামবাগ ফিদা আলী মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত কাদেরীয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনেন ইমাম সোহেল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শহরের গোলাহাট চিনি মসজিদ এলাকার আলহাজ্ব আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল্লাহ-আল মামুন। তিনি গত ৬ জানুয়ারি শহরের ইসলামবাগ ফিদা আলী মাঠ সংলগ্ন এলাকার ১৩২ শতক জমির ক্রয় বিক্রয় বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। আর ওই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দপুরে স্থানীয় দুইটি সাপ্তাহিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ‘সৈয়দপুরে দখলের উদ্দেশ্যে বিচারাধীন জমিতে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ ’ শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। মাদ্রাসা কমিটির ডাকা সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়, শহরের উল্লিখিত এলাকায় ১৩২ শতক জমি ক্রয়ের জন্য আব্দুল্লাহ- আল- মামুন, মো. শাহেদ আলী, মো. আরমান ও মো. আব্দুল রউফ এবং কাদেরীয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার পক্ষে চট্টগ্রামের আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টের বায়নাপত্র চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল্লাহ আল- মামুন তাঁর ভবিষ্যতের প্রতারণার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাদ্রাসাকে বাদ নিয়ে চারজনের নামে বায়নাপত্র রেজিস্ট্রি করেন। সে সময় অবশ্য বলা হয়েছিল যে ক্রয়কৃত জমি থেকে মাদ্রাসাকে ৭৫ শতক জমি দান করা হবে। সে মোতাবেক জমির ক্রয়কারীরা জমির দখল নিয়ে বিগত ২০১৮ তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কাদেরীয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় চালু করে পাঠদান শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জমি মালিক জমি দলিল রেজিস্ট্রি দিতে অস্বীকৃতি জানালে নীলফামারী আদালতে একটি মামলা হয়। বর্তমানে ওই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার আর্জিতে বায়না গ্রহীতারা মাদ্রাসাকে ৭৫ শতক জমি দানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জমির বায়না গ্রহীতার একজন আব্দুল্লাহ-আল-মামুন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় জমির ১০২ শতক নিজের জমি নিয়ে দাবি করে বসেন। যা তাঁর একেবারে অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবি বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বলা হয়েছে মাদ্রাসায় দানকৃত ৭৫ শতক জমির একটি অংশে বর্তমানে তৈয়্যবিয়া জামে মসজিদের নির্মাণ করা হচ্ছে। অন্যের দখল করা জমিতে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগটি আদৌ সত্য নয়। মূলত: আব্দুল্লাহ-আল মামুনের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি মূলত: প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কাদেরীয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান অর্থ সম্পাদক মো. নাসিম ও সুপার মো. রিজওয়ান আহমেদ ও শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ